দেশের বেশিরভাগ যাত্রী ট্রেনে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। অনেক সময়ে ট্রেনে বেশি ভিড় হওয়ার কারণে টিকিট পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য অনেকে হাতে সময় থাকতে মাসখানেক আগে টিকিট কেটে রাখেন। একই সঙ্গে হঠাৎ করে ভ্রমণ করতে চাইলে তৎকাল বা যে কোনো কোটায় টিকিট নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তবুও সব সময় টিকিট পাওয়া যায় না। অগত্যা জরুরি অবস্থায় দালাল বা এজেন্টদের ধরতে হয়। এখানেই অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার। ট্রেনে কেউ যখন টিকিট পাচ্ছেন না তখন দালাল ঠিক টিকিট জোগাড় করে দেন। এটা কী করে সম্ভব? এ জন্য তারা টিকিটের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকা দাবি করে থাকেন। এখন নিশ্চয়ই আপনার মাথায় প্রশ্ন ঘুরছে যে একজন ব্রোকার কিভাবে কনফার্ম টিকেট কেটে দিতে পারেন যেটা আপনি পারছেন না। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক এর ট্রিক।
আসলে দালাল ও তাদের লোকজন বিভিন্ন ট্রেনে বিভিন্ন তারিখের টিকিট বুকিং করে থাকে। এই টিকিটগুলি দুই থেকে তিন মাস আগে বুক করা হয়। এগুলো যে কোনো নামেই বুক করা হয়। সাধারণত, দালালরা ১৫ বছর থেকে ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সের লোকদের জন্য টিকিট বুক করে রাখেন। কারণ এই বয়সের মধ্যে গ্রাহক খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ব্রোকার হয়তো আপনাকে বলবেন যে টিটিই আপনার আইডি কিংবা অন্য কোনো পরিচয় পত্র ইত্যাদির জন্য জিজ্ঞাসা করবেন না। এটাই হল ট্রিক ।

যদি টিটিই-র সামান্যতম সন্দেহ থাকে তবে তিনি অবিলম্বে আপনার কাছ থেকে বৈধ একটি আইডি দেখতে চাইবেন। আইডি এবং টিকিটে মুদ্রিত তথ্য যদি মেলে না, তাহলে আপনি বড় সমস্যায় পড়বেন। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যে টিকিটের জন্য টাকা দিয়েছেন সেটা আগে সবে। এই আসনের জন্য আপনি ইতিমধ্যে ব্রোকারকে দুই থেকে তিনগুণ পরিমাণ বেশি অর্থ প্রদান করেছেন। এর পরে টিটিই আপনাকে জরিমানা করবেন। আপনাকে আবার নতুন টিকিটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সব মিলিয়ে ৪০০ টাকার স্লিপার টিকিটের জন্য খরচ হয়ে যাবে কয়েক হাজার টাকা। সেই জন্যই দালালদের কাছ থেকে কখনই টিকিট না কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়।







