ভারতীয়দের অন্যতম পছন্দের গাড়ি মারুতি ওয়াগন আর। গাড়ি লঞ্চ হবার পর থেকে ব্যাপক সাফল্যের মুখ দেখেছি। ছোট সাইজের এই গাড়ির মাধ্যমে বড় লাভ করেছে কোম্পানি। ইতিমধ্যে এই গাড়ির বিভিন্ন এড়িয়ে প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি তোমার ভেরিয়েন্ট কি হলো CNG নির্ভর। দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ার লক্ষ্য ে এখন বিভিন্ন গাড়িতে পেট্রোল ডিজেলের পাশাপাশি সিএনজি এবং ইলেকট্রিকের অপশন দেওয়া হচ্ছে। ব্যতিক্রমী নয় মারুতি ওয়াগনার। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই গাড়িটির সিএনজি ভার্সন সম্পর্কে।
ওয়াগন আর সিএনজি কে ১০ সি প্ল্যাটফর্মে নির্মিত এই ভার্সনের গাড়িটি ৯৯৮ সিসি ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হয়। গাড়িটি ৫ হাজার ৩০০ আরপিএম এ ৫৫.৯২ বিএইচপি পাওয়ার এবং ৩ হাজার ৪০০ আরপিএমে ৮২.১ এনএম টর্ক দেয়। গাড়ির পেট্রোল ভ্যারিয়েন্টেও একই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে।
মারুতির যে কোনও গাড়ির অন্যতম ইউএসপি হল মাইলেজ। মধ্যবিত্তরা যাতে কম খরচে বেশি পথ অতিক্রম করতে পারে সে কথা মাথায় রাখে কোম্পানি। সিএনজি ফুয়েল চালিত গাড়িগুলি সর্বদা মাইলেজের দিক থেকে ভালো বলেই বিবেচিত হয়। মারুতি ওয়াগন আর সিএনজির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। সংস্থার দাবি অনুযায়ী, এক কেজি গ্যাসে ৩৪.০৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে এই গাড়ি। অর্থাৎ এটি ৩৪.০৫ কিমি/কেজি মাইলেজ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে ওয়াগান আরের সিএনজি ভেরিয়েন্ট। এর মধ্যে সেকেন্ডারি অপশন হিসেবে পেট্রোলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিএনজিতে ফুয়েল ট্যাঙ্কের ক্যাপাসিটি ৬২ লিটার, আর পেট্রল ভ্যারিয়েন্টে ৩২ লিটার ফুয়েল ট্যাঙ্ক পাওয়া রয়েছে।
ভালো মাইলেজ ছাড়াও পাওয়ার স্টিয়ারিং সহ মারুতি ওয়াগন আর সিএনজিতে সামনে ডিস্ক ব্রেক, কয়েল স্প্রিং সহ ম্যাকফারসন স্ট্রুট এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক সহ কয়েল স্প্রিং সাসপেনশন এবং টরশন বিম রয়েছে। গাড়ির টার্নিং রেডিয়াস ৪.৭ মিটার। ৫ আসনের এই গাড়িটির মোট ওজন ১৩৪০ কেজি। মারুতি ওয়াগন আর-এর সিএনজিতে নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম, সেন্ট্রাল লকিং, চাইল্ড সেফটি লক, ড্রাইভার এয়ারব্যাগ, প্যাসেঞ্জার সাইড রিয়ার ভিউ মিরর (প্যাসেঞ্জার সাইড রিয়ার ভিউ মিরর), রিয়ার সিট বেল্ট ওয়ার্নিং (রিয়ার সিট বেল্ট সিট বেল্ট ওয়ার্নিং), ডোর আজার ওয়ার্নিং।