Tata Nano: ই-গাড়ির জগতে আগুন লাগাতে নতুন অবতারে বাজারে এলো Tata Nano, রয়েছে চোখ ধাঁধানো ফির্চাস

একেই বলে সুযোগের সৎ ব্যবহার। ভারতীয় গাড়ি নির্মাণ কোম্পানি Tata তাদের ডুবে যাওয়া গাড়িটিকে ভারতের প্রধান চাহিদার গাড়িতে রূপান্তরিত করতে বর্তমানে উঠে পড়ে লেগেছে। রতন…

Published By: Saikat Sarkar | Published On:
Advertisements

একেই বলে সুযোগের সৎ ব্যবহার। ভারতীয় গাড়ি নির্মাণ কোম্পানি Tata তাদের ডুবে যাওয়া গাড়িটিকে ভারতের প্রধান চাহিদার গাড়িতে রূপান্তরিত করতে বর্তমানে উঠে পড়ে লেগেছে। রতন টাটার স্বপ্ন অবশেষে বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে ভারতীয় জনজীবনে। প্রতিটি বাড়িতে থাকবে গাড়ি, এই স্বপ্ন অনুপ্রাণিত হয়ে প্রায় দুই দশক আগে Tata Nano গাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রতন টাটা। তবে গাড়িটির ডিজাইন ভারতীয়দের পছন্দ না হওয়ার কারণে সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয় এই ধন-কুবেরের।

Advertisements

তবে ডিজেল চালিত গাড়ি দিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে না পারলেও এবার অন্য পন্থা অবলম্বন করলেন রতন টাটা। নিজের স্বপ্নের গাড়ি Tata Nano কে ইলেকট্রিক গাড়িতে রূপান্তরিত করে ভারতীয় বাজারে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে গাড়িটির বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিও রীতিমতো সাড়া জাগিয়েছে ভারতের গাড়ি প্রেমিদের। প্রিমিয়াম ডিজাইনের পাশাপাশি একাধিক চোখ ধাঁধানো বৈশিষ্ট্য রয়েছে গাড়িটিতে। চলুন দেখে নেওয়া যাক, Tata Nano-র নতুন রূপান্তরে কি কি সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা-

Advertisements

সবার প্রথমে আসি গাড়িটির দামের ব্যাপারে। জানলে অবাক হবেন, ভারতীয় বাজারে নতুন এই ইলেকট্রিক গাড়িটি তিন লাখেরও কম দামে কিনতে পারবেন গ্রাহকরা। যদি ব্যাটারির কথা বলি, তবে দুটি ভেরিয়েন্টের ব্যাটারির সাথে গাড়িটি বাজারে উপলব্ধ হবে বলে জানানো হয়েছে কোম্পানির পক্ষ থেকে। গ্রাহকরা নিজের পছন্দ অনুযায়ী মডেল ক্রয় করতে পারবেন। যার মধ্যে প্রথমটি একটি 19 kWh ব্যাটারির প্যাক যা একবার সম্পূর্ণ চার্জে 250 কিলোমিটারের পর্যন্ত মাইলেজ দিতে সক্ষম। এর দ্বিতীয় ব্যাটারি প্যাক সম্পর্কে যদি বলি, এটি একটি 24 kWh ব্যাটারি প্যাক, যা একবার সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে গেলে, আপনি 315 কিলোমিটারের ড্রাইভ রেঞ্জ পাবেন।

এছাড়া যদি অন্যান্য চোখ ধাঁধানো বৈশিষ্ট্যের কথা বলি, তবে Tata Nano EV ইলেকট্রিক গাড়িটিতে পাওয়ার স্টিয়ারিং, এসি, ফ্রন্ট পাওয়ার উইন্ডোজ, ব্লুটুথ, মাল্টি-ইনফরমেশন ডিসপ্লে, রিমোট লকিং সিস্টেম, অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপল কারপ্লে সংযোগ সহ 7-ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে। এর সঙ্গে ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, ব্লুটুথ এবং ইন্টারনেট সংযোগের মত সুবিধা থাকবে বলেও জানানো হয়েছে কোম্পানির তরফ থেকে।

Advertisements