বর্তমানে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের উর্দ্ধমূল্যের কথা বিবেচনায় রেখে গ্রাহকরা ইলেকট্রিক স্কুটার কিংবা ইলেকট্রিক গাড়ির কিনতে বেশি পছন্দ করছেন। স্বল্প খরচে আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য বর্তমানে ইলেকট্রিক গাড়ির বিকল্প খুঁজে পাচ্ছেন না মধ্যবিত্তরা। ফলে বর্তমানে বিশ্ববাজারে ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গাড়ি নির্মাণ কোম্পানিগুলি বর্তমানে নিজেদের ডিজেল কিংবা পেট্রোল গাড়ি নির্মাণ বন্ধ রেখে ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণের দিকে দৃষ্টি দিয়েছে।
এদিকে ভারতীয় বাজারেও ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বেশিরভাগ পরিবার নিউক্লিয়ার হওয়ার কারণে বাড়তি টাকায় বড় গাড়ি কেনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন না গ্রাহকরা। এমন পরিস্থিতিতে ছোট ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার দিকে দৃষ্টি দিয়েছে ভারতের মধ্যবিত্তরা।

বিশাল এই বাজারে মধ্যবিত্তের চাহিদার কথা সামনে রেখে ধন-কুবের রতন টাটা নিজের স্বপ্নের গাড়ি Tata Nano কে নতুন রূপে সাজাতে চলেছে। ডিজেল ইঞ্জিনের বদলে ইলেকট্রিক মোটরের সাহায্যে ভারতের রাস্তায় Tata Nano চালানোর সমস্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করে ফেলেছে কোম্পানিটি। তবে পুরনো Tata Nano গাড়িকে সম্পূর্ণ নতুন ভাবে স্পোর্টস লুক প্রদান করা হয়েছে গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, দুর্দান্ত এই ইলেকট্রিক গাড়ির অবিশ্বাস্য ফির্চাস সম্পর্কে –

শক্তিশালী এই গাড়িটির যদি ব্যাটারির কথা বলি, তবে গ্রাহকরা চাইলে দুটি ভেরিয়েন্টে গাড়িটি ক্রয় করতে পারবেন। যার মধ্যে প্রথমটিতে একটি 19 kWh ব্যাটারির প্যাক ব্যবহার করেছে কোম্পানিটি। যা একবার সম্পূর্ণ চার্জে 250 কিলোমিটারের পর্যন্ত মাইলেজ দিতে সক্ষম। এর দ্বিতীয় ব্যাটারি প্যাক সম্পর্কে যদি বলি, এটি একটি 24 kWh ব্যাটারি প্যাক, যা একবার সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে গেলে আপনি 315 কিলোমিটারের ড্রাইভ রেঞ্জ পাবেন। এছাড়া পাওয়ার স্টিয়ারিং, এসি, ফ্রন্ট পাওয়ার উইন্ডোজ, ব্লুটুথ, মাল্টি-ইনফরমেশন ডিসপ্লে, রিমোট লকিং সিস্টেম, অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপল কার-প্লে সংযোগ সহ 7-ইঞ্চি টাচস্ক্রিনের মত অত্যাধুনিক সুবিধা লক্ষ্য করা যাবে নতুন ইলেকট্রিক Tata Nanoতে।







