টাটা মোটরস ভারতীয় গাড়ি বাজারে অন্যতম বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড। ২০২৪ সালের মধ্যে টাটা তার হ্যারিয়ার এবং সাফারির বৈদ্যুতিক সংস্করণ চালু করতে চলেছে। পরিসংখ্যানের অনুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত (জানুয়ারি থেকে জুন) টাটা নেক্সন সর্বাধিক ৮৭,৫০১ টি ইউনিট বিক্রি হয়েছে। ২০২২ সালের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৭৭০ ইউনিট। ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে টাটা ৮২,৫৬৬ ইউনিট এবং মারুতি ব্রেজা ৮২,১৮৫ ইউনিট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
টাটা নেক্সনে রয়েছে ১.২ পেট্রোল ইঞ্জিন। বাজারে এই গাড়িটির প্রাথমিক মূল্য ৭.৭০ লক্ষ টাকা এক্স-শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে। গাড়িটিতে রয়েছে ৭ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম। গাড়ির ইভি সংস্করণও বাজারে উপলব্ধ। গাড়িটিতে অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপল কার প্লে ফিচার রয়েছে। রয়েছে ৬ স্পিড ম্যানুয়াল ও অটোমেটিক ট্রান্সমিশন।
গাড়িটির শক্তিশালী ইঞ্জিন ১২০ পিএস পাওয়ার উৎপন্ন করে। টাটা নেক্সন এক্সই, এক্সএম, এক্সএম (এস), এক্সএম + (এস), এক্সজেড + ( এইচএস), এক্সজেড + (এল) এবং এক্সজেড + (পি) এর ৮টি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যায়। গাড়িতে লাগেজ রাখার জন্য রয়েছে ৩৫০ লিটারের বড় বুট স্পেস। ২৪ কিলোমিটার মাইলেজ প্রদান করে থাকে মিড প্রাইস রেঞ্জের এই গাড়ি। রিয়ার পার্কিং সেন্সর, ডুয়াল এয়ারব্যাগ, ইবিডি সহ অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম ইত্যাদি ফিচার রয়েছে।
এছাড়া সেফটি ফিচারের মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক স্ট্যাবিলিটি প্রোগ্রাম, টায়ার প্রেসার মনিটরিং সিস্টেম, রিয়ার ভিউ ক্যামেরা এবং আইএসও ফিক্সড চাইল্ড সিট অ্যাঙ্কার। গাড়ির ডিজেল ইঞ্জিন ১১৫ পিএস পাওয়ার এবং ২৬০ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। গাড়িটিতে রয়েছে ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, কুল্ড গ্লাভসবক্স, রিয়ার ভেন্ট সহ অটো এসি, ক্রুজ কন্ট্রোল এবং রেইন সেন্সিং ওয়াইপারের মতো সুবিধা।
View this post on Instagram