আন্তর্জাতিক বাজারে অন্যতম সেরা হওয়ার গাড়ি রাখতে টাটা। টাটা গ্রুপের অধীনে রয়েছে একাধিক বিদেশী ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরির মালিকানা। সেই টাটার সঙ্গে টক্কর নেওয়ার জন্য ভারতে এসেছে কিয়া। এসে বুঝতে পারছে কতো ধানে কতো চাল। টাটার থেকে বিক্রি কমেছে কিয়ার গাড়ির। ভারতেও কিয়ার গাড়ির বিক্রি কমেছে, আন্তর্জাতিক বাজারেও।
২০০৮ সালে ভারতবাসীর জন্য গর্বের মুহূর্ত দিয়েছিল টাটা। ফোর্ড ব্র্যান্ডের ল্যান্ড রোভার এবং জ্যাগুয়ার কিনে নিয়েছিলেন রতন টাটা। এক সময় বিদেশের মাটিতে ছোটো করা হয়েছিল টাটা মোটরসের গাড়িকে। সেই টাটাই কি না জ্যাগুয়ার, ল্যান্ডরোভারের মতো গাড়ির মালিক! এবার টক্কর নিতে এসেছে কিয়া। কিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি। ভেবেছিল গাড়ির লুক এবং টেকনোলজি দিয়েই বাজিমাত করবে। কিন্তু ভারতীয় কোম্পানিকে কিস্তিমাত করা কি ওতো সহজ। আকর্ষণীয় গাড়ি, বিক্রি বাড়ানোর কৌশল জানা আছে টাটারও। অতিসাহসের পরিচয় দিতে গিয়ে এখন চাপে পড়েছে কোরিয়ান কোম্পানি কিয়া।
চলতি বছরের জুলাই মাসে টাটা মোটরস কিয়াকে পিছনে ফেলে বিশ্বের ১৬ তম সর্বাধিক মূল্যবান গাড়ি নির্মাতাকারী কোম্পানি হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার গাড়ি নির্মাতা কিয়া কর্পোরেশনকে টপকে বিশ্বের ১৬তম মূল্যবান গাড়ি নির্মাতার খেতাব জিতে নিয়েছে টাটা মোটরস। ভারতে টাটার স্থান দখল করার জন্য কিয়া যে স্বপ্ন দেখেছিল সেটা আপাতত ভেঙে চুরচুর হয়ে গিয়েছে।
বিশ্বজুড়ে গাড়ি নির্মাতাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টাটা মোটরস ২৭.৩৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সাথে ১৬ তম স্থানে রয়েছে এবং কিয়া মোটরস ২৭.০৩ বিলিয়ন ডলার মূল্য নিজের নামের সঙ্গে যুক্ত করতে পেরেছে। টাটা মোটরসের বাজার মূল্য ২.০৮ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। মারুতি এবং হুন্দাইয়ের পরে টাটা ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি সরবরাহকারী হিসেবে উঠে এসেছে। ২০২৩ সালের জুনে টাটা মোটরস ৪৭২৩৫টি গাড়ি বিক্রি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৪.৫১ শতাংশ বেশি। কিয়া বিক্রি করেছিল ১৯ হাজারের কিছু বেশি ইউনিট গাড়ি।