আপনি যদি নতুন ব্যবসা শুরু করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে এই প্রতিবেদন আপনার কাজে লাগতে পারে। এটা এমন একটি ব্যবসা যার পণ্যের চাহিদা থাকে প্রতিটি শ্রেণীর মানুষের মধ্যে। গ্রাম হোক বা শহর, এই পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমরা সাবান তৈরির কারখানার কথা বলছি। এই ব্যবসায় মেশিনের সাহায্যে সাবান তৈরি করা হয়। উৎপাদন করার পর সেগুলো বাজারে সরবরাহ করা হয়। তবে অনেকে হাতে তৈরি সাবান বাজারে বিক্রি করেন। ছোট পরিসরেও এই ব্যবসা শুরু করা যায়।
বর্তমান সময়ে সাবানের চাহিদা গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্র। এমন পরিস্থিতিতে সাবান তৈরির ব্যবসা আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। খুব অল্প টাকায় একটি সাবান কারখানা খুলতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু করতে কেন্দ্রীয় সরকারের মুদ্রা প্রকল্পের আওতায় ৮০ শতাংশ ঋণ নিতে পারেন। মুদ্রা যোজনার আওতায় ঋণ নেওয়ার অনেক সুবিধা রয়েছে। একটি সাবান উত্পাদন ইউনিট স্থাপনে মোট ব্যয় হতে পারে ১৫,৩০,০০০ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে ইউনিট স্পেস, যন্ত্রপাতি, তিন মাসের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল। এই ১৫.৩০ লক্ষ টাকার মধ্যে আপনাকে খরচ করতে হবে মাত্র ৩.৮২ লক্ষ টাকা। বাকি টাকা আপনি মুদ্রা যোজনার আওতায় ঋণ হিসাবে নিতে পারেন। একটি সাবান তৈরির ইউনিট স্থাপন করতে, আপনার মোট ৭৫০ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন হবে। মেশিন সহ ৮ ধরনের সরঞ্জাম থাকবে। প্রজেক্ট রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মেশিনগুলি ইনস্টল করতে মোট খরচ হবে মাত্র ১ লক্ষ টাকা।
সাবানের বাজারকে তার ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে:-
•লন্ড্রি সাবান
•বিউটি সাবান
•ঔষধ গুণাবলী যুক্ত সাবান
•রান্না ঘরের সাবান
•সুগন্ধযুক্ত সাবান
মানুষের চাহিদা এবং বাজারের কথা মাথায় রেখে এই বিভাগগুলির যে কোনও এইটির জন্য আপনার পণ্য উৎপাদন শুরু করতে পারেন। কেন্দ্রীয় সরকারের মুদ্রা স্কিম প্রকল্পের প্রোফাইল অনুসারে, এক বছরে মোট প্রায় চার লক্ষ কেজি সাবান উত্পাদন করতে সক্ষম হবেন। এর মোট মূল্য হবে প্রায় ৪৭ লক্ষ টাকা। ব্যবসায়ের সমস্ত ব্যয় এবং অন্যান্য দায়বদ্ধতার পরে, আপনি প্রতি মাসে ৬ লক্ষ টাকা অর্থাৎ ৫০ হাজার টাকা নিট মুনাফা পাবেন।