ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি মূলতঃ তৈরি হয়েছিল ষাটের দশকে। এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মূল উপজীব্য ছিল গ্রামীণ মানুষের কাহিনী। কিন্তু আশির দশকের শেষ থেকেই ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সমস্যা দেখা দেয়। তৈরি হয় চিত্রনাট্যের অবনমন। প্রাপ্তবয়স্ক দৃশ্য ছাড়া কোনো ভোজপুরি ফিল্মের অস্তিত্ব খোঁজা একরকম অসম্ভব হয়ে পড়ে। বলিউডকে অনুকরণ করতে গিয়ে ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হারায় নিজস্বতা। তবে এর মধ্যেই আবির্ভাব ঘটে পবন সিং (Pawan Singh)- এর। পবন জাতিতে রাজপুত হলেও উত্তরপ্রদেশে বড় হওয়ার কারণে ভোজপুরি সংলাপ বলতে তাঁর কোনও অসুবিধা হয়নি। বর্তমানে এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পবন অপরিহার্য। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নায়িকাদের সাথে অভিনয় করেছেন পবন। তবে মধু শর্মা (Madhu Sharma)-র বিপরীতে ভোজপুরি ফিল্ম ‘যোদ্ধা’ পবনের ব্লকবাস্টার হিট।
এই ফিল্মের গানগুলি সুপারহিট হয়েছিল। 2015 সালের 25 শে অগস্ট ‘ওয়েভ মিউজিক’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল ‘যোদ্ধা’-র গান ‘আওয়া লাগা দি সুই’। এখনও অবধি এই গানটির ভিউ অতিক্রম করেছে সাড়ে ষোল লক্ষের কিছু বেশি। এই গানটি গেয়েছেন পবন ও ইন্দু সোনালি (Indu Sonali)। গানের শুরুতে দেখা যায়, মধু ও পবন একটি সাঁকোর উপর নাচ করছেন। মধুর পরনে রয়েছে নীল রঙের শর্ট ড্রেস। পবন পরেছেন সাদা টি-শার্ট ও ডেনিম ট্রাউজার এবং প্রিন্টেড জ্যাকেট। এরপর পবন গান শুরু করেন। গানের মাধ্যমে তিনি বলতে চান, ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে যৌবন অটুট রাখতে চান তিনি। তবে ভোজপুরি ফিল্মের গান অথচ পোশাক পরিবর্তন হবে না তা প্রায় অসম্ভব।
ফলে গান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই দেখা যায়, পবন ও মধুর পরনের পোশাক পাল্টে গিয়েছে। পবনের পরনে রয়েছে হলুদ রঙের শার্ট ও ডেনিম ট্রাউজার। মধু পরেছেন কালো রঙের ফুলস্লিভ ড্রেস। গানের সুরে মধু বলেন, ইঞ্জেকশন দেখে ভয় পান তিনি। কিন্তু পবন তাঁর কথায় অনড় থাকেন।
গানটির ভিডিওর কমেন্ট সেকশন পড়লে বোঝা যায় পবনের জনপ্রিয়তা। তাঁর অনুরাগীদের একাংশের কাছে পবন একরকম ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির স্তম্ভ।