প্রবল সম্ভাবনা এমনিতেই ছিল, অবশেষে সমস্ত সম্ভাবনা বাস্তবে পরিণত হলো অস্কারের মঞ্চে। ৯৫ তম অস্কার অ্যাওয়ার্ড মঞ্চে সম্মানিত হল এস এস রাজা মৌলির RRR সিনেমার মুখ্য গানটি। নাটু নাটুর জন্য বিশেষ বিভাগে অস্কার পুরস্কার জিতে নিল দক্ষিণের এই সিনেমাটি। এর আগেও এই গান গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড জয় করেছে আর এখন অস্কার জয়, সব মিলিয়ে আরআরআর এখন সফলতার তুঙ্গে রয়েছে। সিনেমার এই জনপ্রিয় গানটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকে নেটিজেনদের দ্বারা দারুন ভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
২০০৯ সালে স্লামডগ মিলেনিয়ার ছবির ‘জয় হো’ গানের জন্য অস্কার পেয়েছিলেন ভারতীয় সংগীত পরিচালক এআর রহমান। এরপর প্রতিবছর একাধিক গান অস্কারের মঞ্চে নমিনেশন পেলেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। এবার দক্ষিণের হিট সিনেমা RRR-এর হাত ধরে সেই স্বপ্ন পূরণ হলো ভারতবাসীর। তবে এ বছর শুধুমাত্র একটি পুরস্কার নয়, ডকুমেন্টারি শর্ট ফিল্মের জন্য অস্কার পেয়েছেন কার্তিকী গনসালভেস ও প্রযোজক গুনিত মোঙ্গা। অস্কারের মঞ্চ থেকে যখন সেরা গানের যুগলবন্দী বিভাগে ‘নাটু নাটু’-র নাম ঘোষণা করা হয়, তখন হলের মধ্যে আনন্দে নাচ করতে শুরু করেন RRR সিনেমার সকল কলাকৌশলীরা।
এদিকে অস্কারের মঞ্চে পুরস্কার নেওয়ার সময় আরও একবার প্রশংসিত হয়েছে ‘নাটু নাটু’ গানটি। জনপ্রিয় এই গানের নেপথ্যে যিনি সুর দিয়েছেন, সেই এমএম কীরাবানী এদিন অস্কারের মঞ্চে গান গাওয়ার পর নিজের বক্তব্য সকলের সামনে তুলে ধরেন। তুমি যখন তার মন্তব্য জনসমুদ্রে তুলে ধরছিলেন, তখন খুশিতে তার চোখ থেকে বিন্দু বিন্দু অশ্রু গড়াতেও দেখা গেছে। অস্কারের মঞ্চে পুরস্কার নেওয়ার পর সবাইকে ধন্যবাদ জানান এমএম কীরাবানী। আপনাদের জানিয়ে রাখি, চলতি বছর অস্কারের যাক সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসের ডলবি থিয়েটারে। যেখানে লাল কার্পেটের উপর দিয়ে হাঁটেন রাজা মৌলি সহ RRR টিমের সকল সদস্যরা।