শহর বা বিভিন্ন ভ্রমণ স্থলে বাড়ছে মানুষের গতিবিধি। যার ফলে ক্রমে বাড়ছে গেস্ট হাউজ, হোটেল ও হোমস্টের চাহিদাও। আজকাল দেখা যায় যে দেখি আমাদের চারপাশের রাস্তায় অনেক হোটেল খোলা হয়েছে। আমরা এমনটাও মাঝে মধ্যে শুনে থাকি যে এই সমস্ত হোটেল কোনো প্রকারের নিয়ম কানুন মেনে চলে না। এই ধরনের অবৈধ গেস্ট হাউস, হোমস্টে এবং ওয়ো হোটেল নিষিদ্ধ করার জন্য নিয়ম তৈরি করা সরকারের জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে দেখা যাচ্ছে, এসব হোটেল ও গেস্ট হাউজে ক্রমাগত চোরাচালান, দেহ ব্যবসা বা অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ড ঘটছিল। এসব হোটেল, গেস্ট হাউজ বা হোম স্টেতে সরকারের লাগাতার অভিযান সত্ত্বেও এই প্রবণতা এখনও রয়ে গিয়েছে কিছু জায়গায় বলে অভিযোগ।
তাই এসব হোটেল নিষিদ্ধ করতে সরকার সম্পূর্ণ নিয়ম-কানুন তৈরি করেছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলি প্রতিনিয়ত বিদ্যমান নিয়ম-কানুনের ত্রুটির সুযোগ নিচ্ছে এবং আইনি প্রক্রিয়া এড়িয়ে চলেছে। নিবন্ধনের অভাবে এ ধরনের হোটেলগুলোর ব্যাপারে রিপোর্ট করা ও তদন্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যেমন সিসিটিভি না থাকা বা অতিথিরা আসার সময় কোনো ধরনের আইডি জমা না দেওয়া। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে সনাক্ত করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। এই ধরণের ঘটনা একেবারে বন্ধ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নিয়ম তৈরি করা হয়েছে এবং শিগগিরই এগুলো বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র দফতরের তৈরি করা নতুন নিয়ম অনুযায়ী, হোটেল, গেস্ট হাউস বা অন্যান্য হোমস্টেগুলির বাধ্যতামূলক রেজিস্ট্রেশন শুরু করার জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করা হবে। যেখানে বিভিন্ন শর্ত না মানলে সে সব হোটেল বা হোম স্টের বিরুদ্ধে নেওয়া হতে পারে কড়া ব্যবস্থা। চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে হোটেল।
কোনো ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেলে সেসব প্রতিষ্ঠানকে আজীবনের জন্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হবে। এসব হোটেলে আগত অতিথিদেরও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। পরিচয়পত্র ছাড়া হোটেলে ঢুকতে দেওয়া হবে না।