দীর্ঘ ২০০ বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে ভারতে ফিরতে চলেছে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের ‘বাঘনখ’। নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন আপনি? তবে এই নিবন্ধে আমরা আপনাদের বলে রাখি, মহারাষ্ট্র সরকারের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের মধ্যে লন্ডন থেকে দেশে আনা হচ্ছে শিবাজী মহারাজের এই বিশেষ অস্ত্র। আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি, সাতারায় মহারাজ ছত্রপতি শিবাজির উত্তরাধিকারীদের কাছে ‘বাঘনখ’ ছিল। যা ১৮১৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্তা জেমস গ্র্যান্ট ডাফের হাতে চলে যায়। এরপর দীর্ঘ ৬ বছরের কর্ম জীবন শেষে ১৮২৪ সালে নিজের সঙ্গে ‘বাঘনখ’ নিয়ে ব্রিটেনে ফিরে যান।
এরপর বহু বিবর্তনের মধ্য দিয়ে ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়ামের কর্মকর্তাদের হাতে সেই ঐতিহাসিক অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন ডাফের উত্তরাধিকারীরা। যা বর্তমানে ইংল্যান্ডের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়ামে সযত্নে সংরক্ষিত করা রয়েছে। এদিন মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, এই ঐতিহাসিক অস্ত্রের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে। পাশাপাশি, ভারতের ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকেও বিশেষ এই অস্ত্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যার সাথে জড়িয়ে আছে ভারতীয়দের আবেগ। তাই বিশেষ এই অস্ত্র যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
উল্লেখ্য, ১৬৫৯ সালের ১০ই নভেম্বর বীজাপুর সাম্রাজ্যের মুঘল সেনাপতি আফজল খানকে ‘বাঘনখের’ সাহায্যের সুকৌশলে হত্যা করেছিলেন ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ। তারপর থেকে এই অস্ত্রটি ভারতীয়দের জন্য ঐতিহাসিক হয়ে ওঠে। প্রায় ২০০ বছর ব্রিটিশ মিউজিয়ামে থাকার পর অবশেষ বিষয়টি নিয়ে মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী সুধীর মুঙ্গান্তিওয়ার জানিয়েছেন, ব্রিটেন সরকারের তরফে একটি চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে যে, ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের ‘বাঘনখ’ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আফজল খানকে হত্যার বর্ষপূর্তিতে সেটা হাতে পেতে পারে মহারাষ্ট্র সরকার। যদি সেটা সম্ভব না হয়, তবে নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক দিনের সাথে সঙ্গতি রেখে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে শিবাজীর ‘বাঘনখ’।







