মাঝখানে মাত্র কয়েকটি বছরের বিরতি। 2016 সালের মত ফের ভারতীয় জনজীবনে নোটবন্দির জোয়ার এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন 22 মে থেকে অচল হবে ভারতের 2000 টাকার নোট। তবে সাধারণ মানুষ চাইলে ব্যাংকে গিয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে নিজের পুরনো 2000 টাকার নোট বদল করার সুযোগ পাবেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী গত 23 মে থেকে সমস্ত ব্যাংকে 2000 টাকার নোট বদলি করার প্রক্রিয়া চালু হয়েছে।
তবে হঠাৎ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এমন সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেননি ভারতের একাধিক বিরোধী দলনেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে স্লিপ পূরণ না করে এবং পরিচয়পত্রের প্রমাণ না দিয়ে যাতে ব্যাংক থেকে 2000 টাকার নোট বদল করা যায়, এমন পিটিশন জমা দেওয়া হয়। তবে সেই পিটিশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের চ্যালেঞ্জকে এদিন সম্মান জানিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ কুমার শর্মা এবং সুব্রামনিয়াম প্রসাদের একটি বেঞ্চ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বিপক্ষে দায়ের হওয়া পেটিশনকে কার্যত অযৌক্তিক ঘোষণা করলেন বিচারপতি সতীশ কুমার শর্মা। অ্যাডভোকেট অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি শুধুমাত্র নোটবন্দি নয়। বর্তমানে একাধিক মানুষের কাছে কালো ধন হিসেবে প্রচুর পরিমাণে 2000 টাকার নোট জমা রয়েছে। এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ঘটনা, যাতে ভারত সরকার সমস্ত প্রকার কালো টাকা উদ্ধার করতে পারে তার জন্যই এই ব্যবস্থা। আর এই জন্য নোট বদল করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই আপনার পরিচয় পত্রের প্রমাণ দিতেই হবে।







