খুব কম টাকা বিনিয়োগ করেই করুন মোটা টাকা উপার্জন, রয়েছে একাধিক উপায়

চাকরির বাজারে ক্রমে বাড়ছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। প্রচুর লেখাপড়া করার পরেও অনেকে চাকরি পাচ্ছে না। এদিকে ঘরে বসে আর কদিন চলবে। তাই ব্যবসা শুরু করে দেওয়া সমীচিন।…

Published By: Pritam Santra | Published On:
Advertisements

চাকরির বাজারে ক্রমে বাড়ছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। প্রচুর লেখাপড়া করার পরেও অনেকে চাকরি পাচ্ছে না। এদিকে ঘরে বসে আর কদিন চলবে। তাই ব্যবসা শুরু করে দেওয়া সমীচিন। প্রচুর বিজনেস প্ল্যান রয়েছে। অল্প পুঁজির বিনিময়ে অধিক লাভ। আজ এমনই পাঁচ ব্যবসার কথা বলবো, যেখানে বিনিয়োগ কম কিন্তু আয় অনেক বেশি।

Advertisements

সৌর শক্তি উৎপাদন

Advertisements

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে সৌরশক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সূর্য থেকে প্রাপ্ত শক্তিকে সৌর শক্তি বলা হয়। দেশে বিদ্যুৎ সংকট বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে সৌরশক্তির ব্যবহার সমস্যা সমাধানের অন্যতম বিষয়। একটি সোলার প্যানেল কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি পেতে খরচ হয় আট থেকে দশ লাখ টাকা। একই সঙ্গে সরকারি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে খরচও কম হয়। সোলার প্ল্যান্ট স্থাপন করতে চাইলে কিলোওয়াট প্রতি খরচ হয় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। সৌর শক্তি চালিত অনেক পণ্য বাজারে রয়েছে। সোলার বাল্ব, সোলার পাম্প, সোলার ওয়াটার হিটার, সোলার মোবাইল চার্জার ইত্যাদি। এসব পণ্য বিক্রি করে আপনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

নিজের YouTube চ্যানেল

আপনি যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করে অর্থ উপার্জন করতে চান তবে আপনাকে প্রথমে ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে। একটি YouTube চ্যানেল তৈরি করতে আপনার ফোন বা কম্পিউটারে YouTube অ্যাপটি সবার আগে দরকার। নিজের ইমেল আইডি দিয়ে সাইন ইন করতে হবে। প্রোফাইল ফটোতে ক্লিক করলে আপনাকে একটি চ্যানেল তৈরি করার বিকল্প দেখাবে। সমস্ত তথ্য চেক করার পরে নিশ্চিতকরণ বোতামে ক্লিক করলেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল। যত বেশি মানুষ আপনার ভিডিও দেখবে, আপনার উপার্জন তত বেশি হবে। দর্শক বেশি পছন্দ করে এমন বিষয়গুলিতে আপনার ভিডিওগুলি তৈরি করুন। যখন আরও বেশি মানুষ আপনার ভিডিও টি দেখবে এবং এটি পছন্দ করবে, তখন আপনি ভাল অর্থ উপার্জন করা শুরু করবেন। যদি আপনার ভিডিওর দর্শক বেশি হয় তবে আপনি আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দিয়েও অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে কোন কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং রিলেটেড প্রোগ্রামে যোগ দিতে পারেন। আজকাল অনেক কোম্পানি তাদের পণ্য বিক্রি করার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সাহায্য নেয়। আপনি চাইলে তাদের সাথে যুক্ত হয়ে ঘরে বসেই ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ যোগদানের জন্য আপনাকে কোন টাকা দিতে হবে না। তবে অবশ্যই আপনাকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে উপস্থিত থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, আপনার ডিজিটাল প্লাটফর্ম অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম, ব্লগ সাইট ইত্যাদিতে আপনার ভালো সংখ্যক ফলোয়ার থাকতে হবে। আপনার যত বেশি ফলোয়ার থাকবে তত বেশি পণ্য বিক্রি করতে সক্ষম হবেন।

মুদি দোকান

আপনি যদি একটি মুদি দোকান খুলতে চান তবে আগে লোকেশন বেছে নিতে হবে। আপনার দোকান কোথায় অবস্থিত সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনার দোকানটি হওয়া উচিৎ যেখানে বাজার রয়েছে, লোক বসতি রয়েছে। দোকানের আকার এমন হওয়া উচিত যাতে সমস্ত পণ্য ভিতরে রাখা যায় এবং গ্রাহকরাও পণ্যগুলি দেখতে পান। একটি মুদি দোকান খোলার খরচ নির্ভর করে আপনি কত বড় মুদি দোকান খুলতে চান তার উপর। সাধারণ মুদি দোকান খুলতে চাইলে খরচ পড়বে দুই লাখ টাকা থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত। আপনি যদি বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন, তাহলে আপনি একটি বড় মুদি দোকানও খুলতে পারেন। যদি আপনি প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করতে না পারেন তবে আপনি একটি ছোট মুদি দোকান খুলতে পারেন। পরে যখন আপনি ভাল উপার্জন শুরু করবেন তখন ধীরে ধীরে দোকান বাড়াতে থাকুন।

ইন্টিরিয়র বিজনেস

বাড়ি, দোকান, অফিস ইত্যাদি বিভিন্ন নকশা দিয়ে হয়। মানুষ নিজের স্বপ্নকে বা সুন্দর কোনো ডিজাইনকে দেওয়ালে ফুটিয়ে তুলতে চান। সেই কাজটি করতে চাইলে এই ব্যবসা করতে পারেন। ইন্টিরিয়র ডিজাইনের ব্যবসার শুরু করার আগে একটি কোর্স করার পাশাপাশি আপনাকে সৃজনশীল হতে হবে। আপনি যদি এই ব্যবসা শুরু করতে চান তবে নিজস্ব একটি অফিস থাকা জরুরি। আপনি চাইলে ঘরে বসেই অফিস খুলতে পারেন। এটি নির্ভর করে আপনি কোথায় আপনার অফিস খুলতে চান তার উপর। আপনি চাইলে অনলাইনেও আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন। এছাড়া নিজস্ব কিছু কর্মী এই কাজের জন্য দরকার পড়তে পারে। এই কাজ শুরু করতে কমপক্ষে দশ থেকে কুড়ি লক্ষ টাকা খরচ হবে। এর পাশাপাশি কর্মীদের বেতনও রয়েছে। তারপর নিজের কোম্পানির প্রচারের জন্য মার্কেটিং করা জরুরি। কাজ ভালো হলে গ্রাহক বেশি পাবেন ক্রমে।

Advertisements