রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। যারা বিয়ে করেননি তাদের জন্য সরকার টাকা পাঠাবে। ব্যাচেলরদের টাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হরিয়ানা সরকার। জানা গিয়েছে শীঘ্রই হরিয়ানায় ব্যাচেলররা পেনশন পাবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর একটি পাবলিক মিটিং অনুষ্ঠানে ৬০ বছর বয়সী এক অবিবাহিত বৃদ্ধের দাবির প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এতে ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী অবিবাহিত নারী, পুরুষ উপকৃত হবেন। পেনশন দেওয়া হবে সেই ব্যাচেলরদের যাদের বার্ষিক আয় ১.৮০ লক্ষের কম। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের ১.২৫ লক্ষ ব্যাচেলর পেনশনের সুবিধা পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে কর্মকর্তাদের সাথে একটি বৈঠক করেছেন। এক মাসের মধ্যে হরিয়ানা সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে হরিয়ানা হবে প্রথম রাজ্য যেখানে ব্যাচেলরদের জন্য পেনশনের সুবিধা প্রদান করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তৈরি রিপোর্ট অনুযায়ী, হরিয়ানায় নির্দিষ্ট বয়সী অবিবাহিতরা শীঘ্রই পেনশন পাবেন। ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী ব্যাচেলর পুরুষ ও মহিলা উভয়কেই সমানভাবে গুরুত্বে দেওয়া হবে।বর্তমানে হরিয়ানায় বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়া হয়। হরিয়ানা সরকার বামন এবং ট্রান্সজেন্ডারদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। সেই সঙ্গে ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী ব্যাচেলরদের জন্য ২,৭৫০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।
হরিয়ানায় অবিবাহিত ও দরিদ্র বিধবাদের পেনশন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। প্রতিটি রাজ্যে, স্বামীর মৃত্যুর পরে, বিধবা পেনশন আকারে স্ত্রীকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এই অর্থের মাধ্যমে তিনি মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারবেন, তাই সরকার পুরুষদেরও বিধবা ভাতা দেওয়ার কথা ভাবছে। হরিয়ানায় ব্যাচেলরদের জন্য পেনশন প্রবর্তনকে এখানে লিঙ্গ অনুপাতের অবনতির সাথেও যুক্ত করা হচ্ছে, যা অতীতে খুব খারাপ ছিল। তবে গত ১০ বছরে হরিয়ানার লিঙ্গ অনুপাত ৩৮ পয়েন্ট বেড়েছে।