দেশে অনেক বাইক এসেছে, অনেক বাইক হারিয়ে গিয়েছে কালের গহ্বরে। হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস বছরের পর বছর অনেকের কাছেই দেশের এক নম্বর বাইক। হিরো মোটোকর্প গত বছর এই বাইকটির ডার্ক সংস্করণ চালু করেছিল এবং এখন এই বাইকের চাহিদা আকাশ ছোঁয়া। চাহিদা বেশি হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ বাইকটির অ্যাপিল।
হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস ব্ল্যাক ম্যাট ফিনিশের পর সত্যি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। হিরোর পক্ষ থেকে ডার্ক এডিশনের এইচএফ ডিলাক্সও চালু করা হয়েছে। চাইলে খুব সহজেই আপনার নিকটবর্তী শো রুম থেকে কিনতে পারবেন। কিন্তু শুধু রঙ দিয়ে তো আর বাইক কেনা যায় না। বাহনের ফিচার সহ সমস্ত ডিটেলস জানা খুব দরকার।
হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস লিটার প্রতি ৭০ কিলোমিটার মাইলেজ দিতে পারে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এতে রয়েছে ৯৭.২ সিসি এয়ার কুল্ড, ফোর স্ট্রোক, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ওএইচসি, ৮০০০ আরপিএমে ৮.০২ পিএস পাওয়ার এবং ৬০০০ আরপিএমে ৮.০৫ এনএম টর্ক। ৯.৮ লিটার ফুয়েল ট্যাঙ্কের সুবাদে একবারে ৬৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব সহজেই অতিক্রম করতে পারে নতুন স্প্লেন্ডার। স্প্লেন্ডার প্লাস একটি কমিউটার বাইক এবং এর ইঞ্জিন পাওয়ার মাঝারি মানের। তাই বাইকটির সামনে ও পেছনের উভয় টায়ারে ড্রাম ব্রেক দেওয়া হয়েছে। হিরো স্প্লেন্ডার প্লাসে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড ব্রেকিং সিস্টেম সহ এনালগ স্পিডোমিটার, ওডোমিটার, ট্রিপমিটার ও ফুয়েল গেজ। ফুয়েল ইনজেকশন, মাল্টিপল ওয়েট ক্লাচ, বডি গ্রাফিক্স, প্যাসেঞ্জার ফুটরেস্ট, ৫০ মিমি বোর এবং ৪৯.৫ মিমি স্ট্রোকের মাধ্যমে বাইকটির পারফরমেন্স সব মিলিয়ে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
অতিরিক্ত ফিচার হিসেবে বাইকটিতে রয়েছে এক্সসেনস প্রযুক্তি, হাইট টেম্পেচার কনট্যুর। হিরো স্প্লেন্ডার প্লাসের বর্তমান মডেলটি ৭৪ হাজার ৭৪১ টাকার এক্স-শোরুম মূল্যে লঞ্চ করা হয়েছে। রাজ্য অনুসারে অন রোড দামে কিছুটা হেরফের হতে পারে। একেবারে টাকা দিতে না পারলে ইএমআ-এর সুবিধা নিতে পারেন।







