ভারতীয় বাজারে এখনও নিজেদের নামের প্রতি সেই অর্থে সুবিচার করতে পারেনি হিরো মোটো কর্প। তুলনায় অনেক আগেই এগিয়ে গিয়েছে কেটিএম। একের পর এক স্পোর্টিং লুকের বাইক, সঙ্গে কম দাম, বাজার ধরতে অসুবিধা হয়নি কেটিএমের। ওই একই সেগমেন্টে রাজত্ব করে আরও দুটি বাইক। বাজাজের পালসার এবং টিভিএস আপাচে। এই তিন কোম্পানির মধ্যে লড়াই চলে সেয়ানে সেয়ানে। এবার কেটিএম, বাজাজ পালসার, আপাচের বাজার খারাপ করতে আসছে হিরো। শোনা যাচ্ছে, এই সেগমেন্টে জন্য বাইক আনতে চলেছে তারা।
এখনও পর্যন্ত যা কানাঘুষো, খুব শীঘ্রই ভারতীয় বাজারে লঞ্চ হতে চলেছে হিরো Splendor ১৫০ সিসির বাইক। কোম্পানির পক্ষ থেকে এখনই প্রকাশ্যে কিছু জানানো হয়নি। তবে এটা অনুমান করা হচ্ছে যে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্প্লেনডরে যুক্ত করা হবে আরও অনেক ফিচার। বিশেষ করে বাজারের উপলব্ধ বাকি বাইকে যখন ফিচারের পর ফিচার দেওয়া রয়েছে, তখন হিরো কোম্পানিকেও সেই পথ বেছে নিতে হবে।
প্রতিদ্বন্দ্বী বাইকের অনুরূপ হিরোর আপ কামিং এই নতুন বাইকের অন্যতম ইউএসপি হতে চলেছে শক্তিশালী ইঞ্জিন। যা ১২.৭৩ বিএইচপি পাওয়ার এবং তেরো নিউটন মিটার টর্ক জেনারেট করতে পারবে। গতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাইকের লুকে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে। নতুন স্প্লেনডরে দেওয়া হবে স্পোর্টিং লুক। আগামী দিনের এই বাইকে ফিচারের সম্ভার থাকার সম্ভাবনাই প্রবল। এই বাইকে দেওয়া হতে পারে ডিজিটাল স্পিডো মিটার, ডিজিটাল ওডোমিটার, ডিজিটাল ডিসপ্লে, অ্যান্টি লক সিস্টেম, স্মার্ট ফোন কানেক্টিভিটি। সেফটি ফিচারের মধ্যে দেখা যেতে পারে এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম, ফুয়েল গেজ, ইউএসবি পোর্ট, রিয়েল টাইম মাইলেজ এবং এলার্ম সিস্টেমের মতো একাধিক বৈশিষ্ট্য।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে দাম কতো? আগেই বলা হয়েছে যে কোম্পানির পক্ষ থেকে এখনই নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি। যার ফলে দাম নিয়েও হলফ করে কিছু বলা যাবে না। তবে আশা করা হচ্ছে এক্স শো রুম প্রাইস হতে পারে ১.১৭ লাখ টাকার আশেপাশে।