2016 সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা করেন যে, বাজারে উপলব্ধ 500 এবং 1000 টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর এরূপ ঘোষণার পর এক রকম থমকে যায় ভারতের জনজীবন। কারণ, পরিমাণ মতো নোট বাজারে উপলব্ধ না থাকায় বেচা-কেনা করতে মোটের উপর দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছিল সাধারণ মানুষদের। প্রসঙ্গটির গুরুত্ব অনুধাবন করে সেই সময় ভারতের বাজারে নতুনভাবে 2000 টাকা এবং 200 টাকার নোট বের করে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া।
এরপর নতুন 500 টাকার নোটের প্রাচুর্যতা বাড়ার পর ধীরে ধীরে প্রাণ ফিরে পেতে শুরু করে সাধারণ জনগণ। দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে না পেতেই 2023 সালে বেশ বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। কালো টাকার প্রাচুর্যতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে হঠাৎই বাজারে 2000 টাকার নোট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় RBI। যদিও রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার সেই সিদ্ধান্তে ভারতের সাধারণ মানুষের জনজীবনে কোন রকম পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি।
তবে মার্কেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন 2000 টাকার নোট বাতিল হওয়ার পর আরও বেশ কিছু পরিবর্তন করতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। যেমন, 2023 সালের শেষ লগ্নে ভারতের বাজারে নতুন 1000 টাকার নোট উপলব্ধ হতে পারে। এর পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যেতে পারে 200 টাকার নোট! যদিও এই বিষয়ে কোনো রকম তথ্য প্রকাশ করেনি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের দাবি করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই 200 টাকার নোট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে RBI। যা সাধারণ জনজীবনে বিশেষ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।