এবার ভারতের একাধিক কর্মীদের বিপক্ষে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে আয়কর বিভাগ। গোপন সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, ইতিমধ্যে একাধিক কর্মীর বাড়িতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে ভারতীয় আয়কর বিভাগ থেকে। যার মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ যুক্ত রয়েছেন অনলাইন কাজের মাধ্যমে। আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি, করোনা কালে বেশিরভাগ মানুষ অনলাইনেই খুজে নিয়েছিল নিজেদের কর্মসংস্থান। সেইসময়ের সদ্ব্যবহার করে অফিসের পাশাপাশি একাধিক ওয়েবসাইট থেকে আয়ের উৎস খুঁজে নিতে শুরু করেছিলেন তারা।
ফলে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে অফিসের পাশাপাশি দ্বিতীয় উপার্জনের রাস্তায় হাঁটছেন এই সমস্ত ব্যক্তিরা। এবার তাদের বিপক্ষে এই কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারতের আয়কর বিভাগ। বিভিন্ন মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, এই সমস্ত ব্যক্তিরা নিজেদের অফিসের কাজের জন্য উপার্জিত অর্থের আয়কর রিটার্ন ফাইল করলেও অনলাইন কাজের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থের জন্য কোনরকম আয়কর রিটার্ন ফাইল করেননি। ফলে অবলীলায় কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছেন তারা।
এখানেই শেষ নয়, ওই সমস্ত ব্যক্তিরা অনলাইন থেকে উপার্জিত অর্থ সোনা কেনার কাজে কিংবা বিদেশে পাচার করছেন নিয়মিত। ভারতীয় ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, 2020 সালের পর থেকে এই ঘটনার প্রবৃদ্ধি ঘটেছে কয়েকগুণ। আয়কর বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই তালিকায় নথিভুক্ত বেশিরভাগ মানুষই আইটি সেক্টর, অ্যাকাউন্টিং এবং ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল। যারা সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে বিদেশে টাকা চালান করছেন।
আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি, ইতিমধ্যে ভারতীয় আয়কর বিভাগের তরফ থেকে 1,100 জন মানুষের বিপক্ষে তদন্তের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই সমস্ত ব্যক্তি অনলাইনের পাশাপাশি যে সমস্ত কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছেন, সেইসব কোম্পানিগুলোও কর্মীদের ছাঁটাই করতে শুরু করেছে। বিষয়টির গভীরতা বুঝতে পেরে উইপ্রো, ইনফোসিস, টিসিএস ইত্যাদির মতো অনেক কোম্পানি ইতিমধ্যে একাধিক কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে।
