এখনকার সময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন সহজ। দরকার অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার অপশন রয়েছে। সেভিংস অ্যাকাউন্ট, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট এবং স্যালারি অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে একটি সেভিংস অ্যাকাউন্টের অধীনে মানুষ কত টাকা রাখতে পারে? আসুন জেনে নেওয়া যাক এ সম্পর্কে।
সাধারণ একজন মানুষের বেশিরভাগ আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকে সেভিংস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। এখন সবার মনেই প্রশ্ন থাকে, একটা সেভিংস অ্যাকাউন্টে সবথেকে বেশি কত টাকা রাখা যেতে পারে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা জমানোর কোনো ঊর্ধ্ব সীমা হয় না। আপনি যত খুশি টাকা আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্টে রাখতে পারেন। তবে একটি বিষয় মাথায় রাখা দরকার। সেটা হল ITR। আয়কর বিভাগের রাডারে আসতে চান না কেউই। আইটি বিভাগের মাধ্যমে নগদ আমানত সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা এড়ানোর জন্য নিয়মিত সীমাগুলি জানা গুরুত্বপূর্ণ।
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস কোনও আর্থিক বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ আমানতের রিপোর্ট করা বাধ্যতামূলক করেছে। আমানত একাধিক অ্যাকাউন্টে থাকতে পারে। এফডিতে নগদ জমা, মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড এবং শেয়ারে বিনিয়োগ এবং চেক, ফরেক্স কার্ড ইত্যাদির মতো বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়ের ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ টাকার একই সীমা প্রযোজ্য। এমন পরিস্থিতিতে সেভিংস অ্যাকাউন্টে নগদ জমা দেওয়ার সময় মানুষের এই বিষয়টি মাথায় রাখা জরুরি। জেনে নেওয়া ভালো যে সেভিংস অ্যাকাউন্টের ওপরও ট্যাক্স দিতে হয়। উচ্চ আয়ের উপরও ট্যাক্স হতে পারে এবং আপনি ব্যাংক থেকে সুদও পেতে পারেন। ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্থ জমা দেওয়ার উপর একটি নির্দিষ্ট শতাংশ সুদ প্রদান করে।

ব্যাঙ্ক থেকে আপনি যে সুদ পান তার লভ্যাংশ এবং মুনাফা থেকে আয়ের অধীনে আপনার আইটিআর-এ যুক্ত হয় এবং এইভাবে করের আওতায় আসে। তবে এর জন্য ১০ হাজার টাকার সীমা রয়েছে। কোনও আর্থিক বছরে ব্যাঙ্ক আমানত থেকে অর্জিত সুদ যে কোনও করের আওতায় আসার জন্য ১০ হাজার টাকার বেশি হওয়া দরকার।







