সরকারী কর্মীদের অনেক সুবিধা। চাকরি করার সময় যেমন ভালো মাইনে, চাকরি ছাড়ার পরেও টাকার জন্য চিন্তা করতে হয় না। কারণ সরকার পেনশন প্রদান করে। সরকারী চাকরি তো আর সবাই করেন না। তাই পেনশন সবাই পান না। বয়স বেশি হয়ে যাওয়ার পর টাকা নিয়ে চিন্তা থেকেই যায়। তাও ভালো কিছু প্ল্যান বা স্কিম রয়েছে। যার সুবাদে যারা সরকারী চাকরি করেননি তারাও পেনশন পেতে পারবেন।
এলআইসির সরল পেনশন প্ল্যান বেশি বয়সের লোকেদের কথা ভেবে তৈরি করা হয়েছে। বুড়ো বয়সে টাকার চিন্তা যাতে কম হয় সে জন্য এই প্ল্যানের ব্যবস্থা। একটি বড় ব্যাপার হল, এই স্কিমে পেনশন পেতে আপনাকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। আপনি ৪০ বছর থেকে ৮০ বছর, যে কোনও সময় বিনিয়োগ করতে পারেন। বিনিয়োগের পাশাপাশি পেনশনের সুবিধা নিতে পারবেন। আপনি যদি ৪০ বছর বয়সে সরল পেনশন স্কিমে বিনিয়োগ করেন, তবে চল্লিশ বছর বয়স থেকেই পেনশনের সুবিধা লাভ করবেন। প্রিমিয়াম দেওয়ার পর পলিসিহোল্ডার পেনশন পেতে শুরু করবেন। প্রথমবারের মতো প্রাপ্ত পেনশনের পরিমাণ সারা জীবন ধরে পেতে থাকবেন।
সহজ পেনশন পরিকল্পনা দুটি উপায়ে পাওয়া যেতে পারে। পলিসিহোল্ডার যতদিন একা জীবনে বেঁচে থাকবেন ততদিন তিনি পেনশন পেতে থাকবেন। মৃত্যুর পরে, বিনিয়োগের অর্থ মনোনীত ব্যক্তির কাছে ফেরত দেওয়া হবে। অন্য ক্ষেত্রে, বিবাহিত জীবনে স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ের জন্যও ভাবা হয়েছে এই প্ল্যানে। এতে প্রাথমিক পলিসিধারী জীবিত থাকা পর্যন্ত পেনশন দেওয়া হয়। মৃত্যুর পরে অন্যজন পেনশনের সুবিধা পান। উভয়ের মৃত্যুর পরে আমানতের পরিমাণ মনোনীত ব্যক্তিকে দেওয়া হয়।

সরল পেনশন স্কিমের অধীনে মাসিক ১০০০ টাকা পেনশন নিতে পারেন। সর্বাধিক পেনশনের কোনও ঊর্ধ্ব সীমা নেই। পেনশনের পরিমাণ নির্ভর কর্নর বিনিয়োগের পরিমাণের উপর। মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধ-বার্ষিক এবং বার্ষিক পেনশনের বিকল্প পাবেন। এলআইসির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, আপনি যদি ৬০ বছর বয়সে ১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে আপনি বছরে ৫৮৯৫০ টাকা পাবেন। একই সঙ্গে জয়েন্ট লাইফ প্ল্যান নিলে বছরে ৫৮২৫০ টাকা পাবেন। এলআইসির এই প্ল্যানে আপনি লোনের সুবিধাও পাবেন।







