দেশের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি মারুতি সুজুকি আগামী আট বছরে বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করতে ৪৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান আর সি ভার্গব সম্প্রতি জানিয়েছেন, ২০৩১ সালের মধ্যে বছরে ৪০ লাখ গাড়ি উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে মারুতি সুজুকি। ভারতের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি হওয়া সত্ত্বেও, মারুতি সুজুকি এখনও ইভি বিভাগে প্রবেশ করতে পারেনি। টাটা মোটরস, হুন্দাই, এমজি মোটরস এবং মাহিন্দ্রা সহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ব্র্যান্ড ইতিমধ্যে দেশের বৈদ্যুতিক গাড়ি বিভাগে তাদের নিজ নিজ পণ্য চালু করেছে।
এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ভার্গব স্বীকার করেছেন যে সংস্থাটি এই বিভাগে দেরিতে প্রবেশ করছে। তবে তিনি এটা বিশ্বাস করেন যে এটি এই বিভাগে যথেষ্ট বাজার শেয়ার অর্জনের ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে ব্র্যান্ডকে প্রভাবিত করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, মারুতি সুজুকি এই দশকের শেষে ৬ টি বৈদ্যুতিক গাড়ি লঞ্চ করার লক্ষ্য নিয়েছে, যা বাজারে কোম্পানিকে একটি শক্তিশালী পজিশন এনে দেবে। “হ্যাঁ, আমরা ইভি চালু করার ক্ষেত্রে কিছু সংস্থার চেয়ে পিছিয়ে আছি, তবে এর অর্থ এই নয় যে আমরা বাজারে দেরি করছি বা যখন আমরা ২০২৪-২৫ সালে প্রবেশ করবো, তখন আমরা কোনওভাবেই আমাদের উল্লেখযোগ্য বাজার শেয়ার অর্জনের ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্থ করব,” তিনি বলেছিলেন।
মারুতি সুজুকি গ্রিন এবং ক্লিন পাওয়ারট্রেন প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে এটি আগামী দিনগুলিতে বৈদ্যুতিক যানবাহন, হাইব্রিড, সিএনজি, ইথানল এবং সংকুচিত বায়োগ্যাস সহ বিস্তৃত নতুন প্রযুক্তির দিকে মনোনিবেশ করবে বলে জানা গিয়েছে। এসব প্রযুক্তি সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, আগামী আট থেকে দশ বছরের মধ্যে কী ঘটবে তা ভবিষ্যদ্বাণী করা মুশকিল।

ভার্গব আরও বলেছিলেন যে মারুতি সুজুকি বার্ষিক ২০ লক্ষ ইউনিট উত্পাদন এবং বিক্রয়ের মাইল ফলকে পৌঁছেছে। এখন বার্ষিক উৎপাদন ও বিক্রি ৪০ লাখ ইউনিট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে এই সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই পরিকল্পনাটি গাড়ি নির্মাতার ‘মারুতি ৩.০’ কৌশলের অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। যার অধীনে সংস্থাটি ২০৩০-৩১ অর্থ বছরের মধ্যে প্রায় ২৮ টি বিভিন্ন গাড়ির মডেলের সাথে বাজারে ২ মিলিয়ন ইউনিট উত্পাদন ক্ষমতা যুক্ত করার লক্ষ্য নিয়েছে।







