ভারতীয় গাড়ি বাজারে দুটি গাড়িই কিংবদন্তি প্রায়। একদিকে টয়োটার ইনোভা, অন্য দিকে মাহিন্দ্রার বোলেরো। টার্গেট গ্রাহক আলাদা আলাদা হলেও গাড়ি দুটি নিজের ক্ষেত্রে আজও অপরাজেয়। ভারতে সেভেন সিটার গাড়ি বললেই সবার আগে মাথায় আসে টয়োটার ইনোভার কথা। শহুরে রাস্তায় ইনোভার গাড়ি প্রায়ই চোখে পড়ে। তেমনই গ্রামের দিকে বোলেরোর চল বেশি। কী হতে পারে যদি দুটি গাড়ি সরাসরি একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে? তেমনটাই হতে চলেছে আগামী দিনে। কারণ নতুন মডেলের বোলেরো বাজারে নিয়ে আসছে মাহিন্দ্রা। রাগেড লুকের সঙ্গে থাকছে লাক্সারি ফিল।
নতুন মাহিন্দ্রা বোলেরো আগের থেকে অনেকটাই আলাদা দেখতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। স্কর্পিয়োর পাশাপাশি বোলেরো মাহিন্দ্রার সর্বাধিক বিক্রিত গাড়ির মধ্যে পড়ে। স্কর্পিয়োর নতুন ভার্সন, স্কর্পিয়ো এন লঞ্চ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাড়া ফেলে দিয়েছিল। ক্ল্যাসিক লুকের আভাস বজায় রেখে বদলে ফেলা হয়েছিল গাড়ির খোলনলচে। তেমনটা নতুন বোলেরোর ক্ষেত্রেও হতে পারে বলা আশা করা হচ্ছে। নতুন স্কর্পিয়োর মতো মজবুত অথচ হালকা প্ল্যাটফর্মের ওপর তৈরি করা হতে পারে গাড়ি। নতুন বোলেরোর বাহ্যিক অংশেও অনেক পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। নতুন মাহিন্দ্রা বোলেরো ২০২৩ এর চেহারার ওজনও বেশ হালকা হতে পারে।
গাড়িতে থাকতে চলেছে কোম্পানির নতুন সিগনেচার টুইন-পিক লোগো, আয়তক্ষেত্রাকার এলইডি হেডলাইট, নতুন বাম্পার এবং প্রচুর ক্রোম, ফগ ল্যাম্প গ্রিল। গাড়ির ইন্টিরিয়র সাজানো হতে পরে ভালো মনের টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, মাল্টি ফাংশনাল স্টিয়ারিং হুইল, হাইট অ্যাডজাস্টেবল ড্রাইভার সিট এবং অটোমেটিক এসি ইউনিটের মতো কিছু নতুন ফিচার দিয়ে। এতে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, পাওয়ার উইন্ডো, ১২ভি অ্যাকসেসরি সকেট, রিমোট লকিং, ইঞ্জিন আইডল স্টপ/স্টার্ট সিস্টেম, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ড্রাইভার এয়ারব্যাগ, রিয়ার পার্কিং সেন্সর, এবিএস (অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম) এবং ফ্রন্ট সিটবেল্ট রিমাইন্ডার সহ অডিও সিস্টেম পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন মাহিন্দ্রা বোলেরো ২০২৩-এ ২.২ এল এমএইচওসি ডিজেল এবং ২.০ এল টার্বো পেট্রোল ইঞ্জিন থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। ম্যানুয়াল এবং অটোমেটিক উভয় গিয়ারবক্স পাওয়া যাবে গাড়িতে। এতো ফিচারের ফলে নতুন প্রজন্মের মাহিন্দ্রা বোলেরোর আগের থেকে কিছুটা বাড়তে চলেছে। গাড়ির সর্বাধিক দাম হতে পারে ১১ লক্ষ টাকার আশেপাশে।