দিনের পর দিন যেভাবে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে গাড়ি চালাতে ভয় পাচ্ছেন ভারতের সাধারণ নাগরিকরা। ভারতীয় রাস্তায় একটি ডিজেল গাড়ি গড়ে 20 কিলোমিটার মাইলেজ দিতে সক্ষম। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ব্যতীত গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিয়েছেন ভারতের বেশিরভাগ নাগরিক। মধ্যবিত্তের দুর্দশার কথা মাথায় রেখে এবার বড় পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ গাড়ী নির্মাণ কোম্পানি Tata। জানা গেছে, খুব শীঘ্রই রতন টাটার স্বপ্নের প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে চলেছে ভারতীয় বাজারে।
এই নিবন্ধে আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি, রতন টাটার স্বপ্নের গাড়ি Tata Nano-র ইলেকট্রিক সংস্করণ সম্পর্কে। জানলে অবাক হবেন, খুব শীঘ্রই রতন টাটা তার স্বপ্নের গাড়ি Tata Nano-র ইলেকট্রিক ভার্সন ভারতীয় বাজারে লঞ্চ করবেন। তবে গাড়িটি লঞ্চ হওয়ার আগেই গ্রাহকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এর চোখ ধাঁধানো বৈশিষ্ট্যের কারণে। প্রথমত, Tata Nano গাড়ির তুলনায় এই ইলেকট্রিক গাড়িটির ডিজাইনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। গাড়িটিকে একটি স্পোর্টস গাড়িতে রুপান্তরিত করার জন্য কিলার লুক দেওয়া হয়েছে।
যদি দুর্দান্ত এই গাড়িটির বৈশিষ্ট্যের কথা বলি, তবে Tata Nano EV ইলেকট্রিক গাড়িটিতে পাওয়ার স্টিয়ারিং, এসি, ফ্রন্ট পাওয়ার উইন্ডোজ, ব্লুটুথ, মাল্টি-ইনফরমেশন ডিসপ্লে, রিমোট লকিং সিস্টেম, অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপল কারপ্লে সংযোগ সহ 7-ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে। এর সঙ্গে ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, ব্লুটুথ এবং ইন্টারনেট সংযোগের মত দুর্দান্ত ফির্চাস লক্ষ্য করা যাবে।
এছাড়া গাড়িটির যদি ব্যাটারির কথা বলি, তবে গ্রাহকরা চাইলে দুটি ভেরিয়েন্টে গাড়িটি ক্রয় করতে পারবেন। যার মধ্যে প্রথমটিতে একটি 19 kWh ব্যাটারির প্যাক ব্যবহার করেছে কোম্পানিটি। যা একবার সম্পূর্ণ চার্জে 250 কিলোমিটারের পর্যন্ত মাইলেজ দিতে সক্ষম। এর দ্বিতীয় ব্যাটারি প্যাক সম্পর্কে যদি বলি, এটি একটি 24 kWh ব্যাটারি প্যাক, যা একবার সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে গেলে, আপনি 315 কিলোমিটারের ড্রাইভ রেঞ্জ পাবেন। যদি দামের কথা বলি, তবে গাড়িটি ভারতীয় বাজারে 5 লক্ষ টাকার কমে পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন গাড়ি বিশেষজ্ঞরা।