রিয়েলমি, রেডমি, আইফোন সহ বেশ কয়েকটি মোবাইল প্রস্তুরকারক সংস্থাকে জোরদার টেক্কা দিচ্ছে ওয়ানপ্লাস। ভারতীয় বাজারে রমরমিয়ে চলছে এই ফোনের কেনাবেচা। এই মোবাইল কোম্পানির কয়েকটি লেটেস্ট ডিজাইন ফোনের ফিচার, স্টাইলিশ লুক সকলের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে রীতিমতো। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস- এর অনুষ্ঠানে ওয়ানপ্লাস ভারতে ওয়ানপ্লাস ১১ কনসেপ্ট ফোনটি নিয়ে এসেছে। নাম থেকেই বোঝা যায়, এটি একটি কনসেপ্ট স্মার্টফোন।
সংস্থার দাবি অনুযায়ী, ফোনটি লিক্যুইড কুলিং প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি হয়েছে। ওয়ানপ্লাস ১১ কনসেপ্ট স্মার্টফোনএমন একটি ডিভাইস যা PC-র মতো লিকুইড কুলিং প্রযুক্তিতে কাজ করবে। এর মাধ্যমে আপনি খুব ভালো পারফরমেন্স এবং খুব ভালো ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স পাবেন, যা অন্য কোনো স্মার্টফোন দিতে পারবে না। হ্যাঁ এমনই দাবি করা হয়েছে কোম্পানির তরফে।
দিল্লিতে ওয়ানপ্লাস তাদের নতুন কনসেপ্ট ফোনের এমন অভিজ্ঞতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোবাইল টেক শোতে এই ডিভাইসের প্রোটোটাইপ শেয়ার করেছে ওয়ানপ্লাস। এটি এমন একটি ডিভাইস যেখানে পিছনে এলইডি ব্যবহার করে পিসির মতো নান্দনিকতা সরবরাহ করা হয়। এছাড়াও এতে রয়েছে উন্নত লিকুইড কুলিং প্রযুক্তি। বর্তমানে স্মার্টফোনে উপস্থিত হার্ডওয়্যারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, দীর্ঘ সময় গেইমটি খেলার পর ফোনটি প্রচুর গরম হতে শুরু করে এবং এখানে লিকুইড কুলিং ব্যবহার করা হয়।
সংস্থাটি দাবি করেছে যে এটি তাপমাত্রা কমপক্ষে ২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস করবে এবং গেমপ্লে চলাকালীন ফ্রেম রেট ৩-৪ এফপিএস দ্বারা উন্নত করবে। স্মার্টফোনটির অন্যান্য স্পেসিফিকেশনের কথা বলতে গেলে এটি দেখতে ওয়ানপ্লাস ১১ এর মতো হবে। এই কনসেপ্ট ফোনটিতে একই ৬.৭ ইঞ্চি ওএলইডি স্ক্রিন এবং ১২০ হার্জের রিফ্রেশ রেট রয়েছে।
প্রসেসরের কথা বলতে গেলে কোয়ালকমের ফ্ল্যাগশিপ স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেনারেশন ২ প্রসেসর এবং আল্ট্রা ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টও পাওয়া যায়। তবে এই কনসেপ্ট ফোনটি লুকের দিক থেকে বেশি প্রিমিয়াম দেখায়। এর পিছনে একটি আইসিওয়াই ব্লু পাইপলাইন রয়েছে যা পুরো ফোনের পিছনে দৃশ্যমান।
তবে এখানে বলে রাখা জরুরি, এই মুহূর্তে লিকুইড কুলিং প্রযুক্তির এই ফোন টি বিক্রির কোনো পরিকল্পনা নেই ওয়ানপ্লাসের। কনসেপ্ট ফোনের মতোই মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে নতুন প্রযুক্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে এই ফোনটিকে। ওয়ানপ্লাস বছরের পর বছর ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনের রেঞ্জে দুর্দান্ত কাজ করেছে এবং ভারতেও ভাল স্মার্টফোন এনেছে। অ্যাপল এবং স্যামসাংয়ের মতো সংস্থাগুলির সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য ওয়ানপ্লাস উদ্ভাবনী নকশা এবং প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে চলেছে নিরন্তর।
এমনকি নিজেদের ডিভাইস সম্পর্কে মানুষকে আরো জানাতে ওয়ানপ্লাস একটি ট্রাকের ব্যবস্থা করেছে। এই ট্রাকটি দেশের বহু স্থানে ঘুরবে। এই ট্রাকটি ২৫ টিরও বেশি শহরে ভ্রমণ করবে। দুটি পপ-আপ অভিজ্ঞতা আউটলেটে ওয়ানপ্লাস ডিভাইস যেমন ওয়ানপ্লাস ১১ সিরিজ, ওয়ানপ্লাস প্যাড, ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ২, ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই ৩ লাইট, ওয়ানপ্লাস নর্ড বাডস ২, ওয়ানপ্লাস কীবোর্ড ৮১ প্রো এবং ওয়ানপ্লাস মনিটর রয়েছে। ওয়ানপ্লাস জানিয়েছে যে পপ-আপ এক্সপেরিয়েন্স আউটলেটটি চণ্ডীগড়, জয়পুর এবং লখনউয়ের মতো উত্তরের অনেক শহর জুড়ে থাকবে। দক্ষিণে, ট্রাকগুলি কোয়েম্বাটুর, চেন্নাই, পুনে, কোচি এবং আরও অনেক গুলি শহর জুড়ে যাবে।