আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন যে ৫ টাকার কয়েন অনেক ধরনের আছে। একটি কয়েক পুরানো এবং অন্যটি একটি সোনালী রঙের পাতলা মুদ্রা। সাম্প্রতিক অতীতে আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে ৫ টাকার পুরানো মোটা কয়েন বাজারে আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আসলে গত কয়েক বছর ধরে পুরানো ৫ টাকার কয়েন তৈরি হওয়াই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাজারে যে কয়েনগুলো অবশিষ্ট আছে শুধু সেগুলোই চলছে। কিন্তু আপনি কি জানেন কেন এমনটা করা হয়েছিল? আসুন জেনে নেওয়া যাক এর কারণ কী।
আসলে ৫ টাকার পুরনো কয়েনগুলো বেশ মোটা ছিল। তাই এই কয়েনগুলো বানাতেও বেশি ধাতু প্রয়োজন পড়ত। যে ধাতু দিয়ে ব্লেড তৈরি হয় সেই একই ধাতু দিয়ে তৈরি হতো পুরনো ৫ টাকার কয়েন। কিছু লোক যখন বিষয়টি জানতে পারে, তখন তারা এর ভুল সুবিধা নিতে শুরু করে। পুরনো পাঁচ টাকার কয়েক থেকে অসাধু উপায়ে কেউ কেউ ব্লেড বানাতে শুরু করে।
মাত্রাতিরিক্ত ধাতুর কারণে এসব কয়েন ভুল পথে বাংলাদেশে পাচার হতে শুরু করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। ৬টি ব্লেড তৈরিতে ব্যবহৃত হতো একটি কয়েন এবং ১টি ব্লেড ২ টাকায় বিক্রি হয়। এভাবে ৫ টাকার কয়েন গলে তা থেকে ব্লেড তৈরি করে ১২ টাকায় বিক্রি করা যেত। বিষয়টি ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই পদক্ষেপ নেয় রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া।যখন বাজারে কয়েন কমতে শুরু করে এবং সরকার তা জানতে পারে, তখন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক ৫ টাকার কয়েন আগের চেয়ে পাতলা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এবং এটি তৈরিতে ব্যবহৃত ধাতুও পরিবর্তন করা হয়। যাতে কেউ এটা গলিয়ে অন্য কাজে না লাগাতে পারে।