প্রবীণ নাগরিকরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের জমানো অর্থ এমন জায়গায় বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন যেখানে ভালো রিটার্ন পাওয়ার সুবিধা রয়েছে। সেই সঙ্গে আর্থিক নিরাপত্তার দিকটাও মাথায় রাখতে হয়। এই কারণে বেশিরভাগ প্রবীণরা এফডি টাকা রাখতে বেশি পছন্দ করেন। সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম সাধারণ নাগরিকদের জন্য বিশেষত প্রবীণদের জন্য অন্যতম ভালো অপশন হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য ভালো অপশন। এ ছাড়া যারা চাকরি থেকে ভিআরএস নিয়েছেন তাদের জন্যও এটি অন্যতম সেরা একটি সেভিংস স্কিম। এই প্রকল্পে সুদের হার এফডি ও সেভিংস অ্যাকাউন্টের চেয়ে বেশি। বর্তমানে এসসিএসএস ৮ দশমিক ২ শতাংশ হারে সুদ পাচ্ছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই স্কিমের সাথে সম্পর্কিত বিশেষ বিষয়গুলো।
ন্যূনতম ১০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা এই অ্যাকাউন্টে জমা করা যাবে। এই স্কিমের আওতায় আপনি আপনার বিনিয়োগের উপর প্রতি ৩ মাসে সুদ পাবেন। এই অ্যাকাউন্টটি ৫ বছরের মধ্যে ম্যাচিওর হবে। আমানতকারীরা ৫ বছর পরে আরও ৩ বছরের জন্য তাদের অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন। যদিও এই এক্সটেনশন বিকল্পটি কেবল একবারই পাবেন।
আপনি যদি ৫ বছরের জন্য এই স্কিমে ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন তবে ৮.২% হারে আপনি সুদ হিসাবে ২,০৫,০০০ টাকা পাবেন। এইভাবে, আপনি পরিপক্কতার পরে ৭ লক্ষ ৫ হাজার টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে পাবেন। ১০ লক্ষ টাকা জমা দিলে মেয়াদপূর্তিতে পাবেন ১৪,১০,০ টাকা, ১৫ লক্ষ টাকা জমা দিলে পাবেন ২১,১৫,০০০ টাকা। ২০ লক্ষ টাকা জমা দিলে মেয়াদ পূর্তিতে পাবেন ২৮,২০,০০০ টাকা। একই সঙ্গে ৩০ লক্ষ টাকা জমা দিলে পাবেন ৪২,৩০,০০০ টাকা।
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম হল ভারত সরকারের একটি ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প। এই অ্যাকাউন্টটি ভারতের যে কোনও জায়গায় স্থানান্তর করা যেতে পারে। এই স্কিমে বিনিয়োগ করে আপনি আয়করের আওতায় ছাড় পাবেন। এই স্কিমের আওতায় প্রতি তিন মাসে সুদ দেওয়া হয়। সুদ প্রতি এপ্রিল, জুলাই, অক্টোবর এবং জানুয়ারীর প্রথম দিন আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হয়। পোস্ট অফিস বা পাবলিক প্রাইভেট সেক্টর ব্যাঙ্কে এই অ্যাকাউন্ট খুলতে আপনাকে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। এছাড়া দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, পরিচয়পত্র ও অন্যান্য কেওয়াইসি ডকুমেন্ট লাগবে।