চুল পড়া রোধ এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়ানোর সর্বোত্তম উপায় হিসাবে অনেকেই মনে করেন মাথায় তেল ব্যবহার করা দরকার। দূষণ, স্ট্রেস এবং ডায়েট ইত্যাদি চুল পড়ার কারণ বিভিন্ন কারণ হতে পারে। চুল পড়া রোধে আমরা বাজার থেকে শ্যাম্পু ও বিভিন্ন পণ্য কিনে থাকি, কিন্তু রাসায়নিক পণ্য চুলের ক্ষতি করতে পারে। সপ্তাহে কমপক্ষে দু’বার চুলে তেল দেওয়া সবচেয়ে ভাল কাজ বলে মনে করা হয়। তেল প্রয়োগ চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। চুল বৃদ্ধির জন্য ঘরোয়া উপায়গুলিও খুব সহায়ক হতে পারে। আপনি যদি চুল পড়া বন্ধ করতে চান এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে চান তবে ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানানো তেলে হতে পারে সমস্যার সমাধান।
কালো জিরা স্বাস্থ্যকর মাথার ত্বক এবং চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে বলে অনেকে মনে করেন। এই তেলের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বক শুষ্ক এবং পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। কালোজিরার তেল অকালে চুল পাকা রোধ করতে পারে, চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এর পাশাপাশি এই তেল চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে।
কালোজিরা দিয়ে তেল বানাবেন কী করে?
- একটি প্যানে দুই মুঠো কালোজিরা এবং পাঁচ কাপ জল রাখুন।
- দশ মিনিট ফুটানোর পরে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন।
- তরলটি ছেঁকে নেওয়ার পর এক চা চামচ অতিরিক্ত শুদ্ধ জলপাই তেল যোগ করুন।
- এবার এটি একটি পাত্রে সংরক্ষণ করুন।
কারি পাতা আপনার চুলের জন্য খুব কার্যকর হতে পারে। প্রতি ভারতীয়র রান্নাঘরে সহজেই পাওয়া যায় এই উপাদান। এগুলি পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা চুলের ফলিকলগুলিকে শক্তিশালী করে এবং চুল পড়া, চুল পাতলা হওয়া রোধ করে। কারিপাতায় পাওয়া বিটা ক্যারোটিন এবং প্রোটিন চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- কিছু কারি পাতা রোদে শুকানোর জন্য দুই দিনের বেশি রাখুন।
- এরপর এগুলো নারকেল তেলে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হতে দিন।
- ফিল্টার করার পরে এই তেল দিয়ে আপনার চুল এবং মাথা ম্যাসাজ করুন।
নিম এবং বাদাম তেল
নিম এবং বাদাম চুলের বৃদ্ধি এবং চুল মজবুত করতে সাহায্য করতে পারে। এই মিশ্রণ অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এসব ঔষধি উপকারিতার কারণে চুল হয়ে উঠতে পারে খুশকিমুক্ত, মজবুত ও স্বাস্থ্যকর।
- কিছু নিম পাতা ১-২ দিন শুকিয়ে নিন।
- শুকনো নিম পাতা দিয়ে বাদাম তেল ফুটিয়ে নিন।
- তেল ভিজিয়ে রাখার জন্য পাতাগুলিকে এক সপ্তাহ সময় দিন।