শেয়ার বাজারে ব্যাপক উত্থানের সাক্ষী থেকেছে টিটাগড় রেল সিস্টেমস। এই কোম্পানির শেয়ারগুলি গত ৩ বছরে দর বাড়িয়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। টিটাগড় রেল সিস্টেমস যা আগে পূর্বে টিটাগড় ওয়াগনস নামে পরিচিতি ছিল। কোম্পানির শেয়ার এক সময় ছিল শেয়ার ৩০ টাকা। সেখান থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০০ টাকারও বেশি। কোম্পানিটির শেয়ার গত ৩ বছরে রিটার্ন দিয়েধে প্রায় ১৬০০ শতাংশ। টিটাগড় রেল সিস্টেমস অতীতে বন্দে ভারত ট্রেনের অর্ডারও পেয়েছে। যার ফলে কোম্পানির শেয়ার হয়েছে আরও চাঙ্গা।
২২ মে, ২০২০ তারিখে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) টিটাগড় রেল সিস্টেমসের শেয়ারের দাম ছিল ৩০ টাকা। ৩ জুলাই, ২০২৩ তারিখে বিএসইতে কোম্পানির শেয়ার ৫০৯.৪০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। অংকের এই হিসেবে টিটাগড় রেল সিস্টেমের শেয়ারগুলি গত ৩ বছরে প্রায় ১,৬০০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ২০২০ সালের ২২ মে কোনও ব্যক্তি যদি টিটাগড় রেল সিস্টেমের শেয়ারে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতেন এবং তবে তার শেয়ার ধরে রাখতেন, তাহলে বর্তমানে সেই ব্যক্তির শেয়ারগুলির মূল্য হতো প্রায় ১৬.৯৮ লক্ষ টাকা।
গত এক বছরে টিটাগড় রেল সিস্টেমের শেয়ার ৩৮৩% বেড়েছে। ২০২২ সালের ৪ জুলাই বিএসইতে কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ১০৫.২৫ টাকা। ৩ জুলাই, ২০২৩ তারিখে বিএসইতে টিটাগড় রেল সিস্টেমসের শেয়ার ৫০৯.৪০ টাকায় পৌঁছেছে। একই সময়ে, টিটাগড় রেল সিস্টেমের শেয়ার গত ৬ মাসে ১১৮ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানিটির শেয়ার ৫২ সপ্তাহের সর্বোচ্চ ৫১৪.৩৫ টাকায় পৌঁছেছে। এই সময়কালে কোম্পানিটির শেয়ারের ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তর ১০২.০৫ টাকা।
কোম্পানিটির শেয়ার দর লক্ষ্যমাত্রা পেয়েছে ৬৮৬ টাকা। ব্রোকারেজ হাউজ অরিহান্ত ক্যাপিটাল মার্কেটসের বক্তব্য অনুযায়ী, এক বছরে কোম্পানির শেয়ার ৬৮৬ টাকায় পৌঁছাতে পারে। ব্রোকারেজ হাউস জানিয়েছে যে টিটাগড় রেল সিস্টেমের ২৭৫.৫ বিলিয়ন টাকার বিরাট অর্ডার রয়েছে। মালবাহী ওয়াগন, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, মেট্রো এবং গ্লোবাল ওয়াগন টেন্ডার থেকে কোম্পানি ভালোরকম লাভ করতে চলেছে। ব্রোকারেজ হাউসের মতে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ব্যবসার অগ্রগতির অন্যতম কারণ হতে পারে।