পৃথিবীর সবচেয়ে বিশ্বস্ত প্রাণী গুলির মধ্যে কুকুর অন্যতম। মালিকের বিশ্বাসের দাম দিতে এরা নিজের জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করতে পিছুপা হয় না। তবে এই কুকুর মাঝে মাঝে এমন কিছু ব্যবহার করে যা সত্যিই আপনাকে হতবাক করে তুলবে। এই ব্যবহার গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর অভ্যাসটি হলো হঠাৎ করে কোন গাড়ির পেছনে ছুট লাগানো কিংবা মানুষকে ধাওয়া করা।
আপনি যদি কখনো সাইকেল কিংবা মোটরসাইকেল চালিয়ে থাকেন, তবে এই সমস্যায় আপনিও আক্রান্ত হয়েছেন। কোন গলির ভেতর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় লক্ষ্য করেছেন, কুকুরের দল অত্যন্ত জোরে ঘেউ ঘেউ করতে শুরু করেছে। মাঝে মাঝে পরিস্থিতি এমন বিগড়ে যায় যে, মনে হয় কুকুরের দল আপনাকে ছিড়ে খাবে। তখন জ্ঞান শূন্য হয়ে আপনি জোরে সাইকেল কিংবা বাইক চালাতে শুরু করেন।
তবে কখনো কি ভেবেছেন, বন্ধুত্বপূর্ণ কুকুরের দল কেন হঠাৎ এমন আচরণ করে? আপনি যদি বিষয়টি নিয়ে কখনো না ভাবেন, তবে আজ এই নিবন্ধে আমরা আপনাকে জানাতে চলেছি এর পেছনে আসল বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। গভীর রাতে যখন আপনি সাইকেল কিংবা মোটরসাইকেলে চেপে নির্জন গলি দিয়ে যাতায়াত করেছেন তখন নিঃসন্দেহে কুকুরের আক্রমণের হাতে পড়তে হয়েছে আপনাকে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে কখনো সাইকেল কিংবা বাইক ফেলে দৌড়েছেন, আবার কখনো মরণাপন্ন হয়ে গাড়ি চালিয়েছেন।
সাইকেল কিংবা মোটরসাইকেল দেখলে তার পেছনে কুকুর দৌড়ানোর একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। আসলে কুকুরের ঘ্রান শক্তি অত্যন্ত তীক্ষ্ণ। যদি কখনো আপনার সাইকেল বা বাইক নতুন কোন কুকুরের সংস্পর্শে আসে তখন আপনার পরিচিত কুকুরের দল সেই গন্ধ অনুভব করতে পারে। ফলে তারা মনে করে তাদের এলাকায় নতুন কুকুরের আবির্ভাব ঘটেছে। এইজন্য তারা বাইক কিংবা সাইকেলের পিছন ধাওয়া করে।
তারা আপনাকে দেখে নয় বরং নতুন কুকুরের আগমন ঘটেছে মনে করেই দলবদ্ধ হয়ে উচ্চস্বরে ডাকতে শুরু করে। আর এমন পরিস্থিতিতে আপনি দিশা হারিয়ে জোরে গাড়ি চালাতে থাকেন। এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে আপনার উচিত পার্শ্ববর্তী কুকুরদের সাথে কিছুটা সময় অতিবাহিত করা। তবে তারা আপনাকে কখনোই আক্রমণ করবে না।