বর্তমানে ভারতসহ বিশ্বের একাধিক দেশে জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বমূলের কারণে রীতিমতো দুর্ভাবনায় পড়েছেন সাধারণ মানুষেরা। মূলত জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে দাম বেড়েছে প্রত্যেকটি পণ্যের। যদি বিগত কয়েক মাসের রিপোর্ট লক্ষ্য করা হয় তবে আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি, উল্লেখযোগ্য হারে ভারতের বাজারে কমেছে পেট্রোল-ডিজেল গাড়ির বিক্রি। বরং তার বদলে বেড়েছে ইলেকট্রিক গাড়ির উৎপাদন এবং বিপণন। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সাধারণ মানুষদের জন্য কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পারে তেল বিপণন সংস্থাগুলি (OMCs)।
বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশিত খবর অনুসারে, চলতি বছরের আগস্ট থেকে জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বমূল্যের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে পারে তেল বিপনন কেন্দ্রগুলি। সম্প্রতি, জেএম ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনাল একটি রিপোর্ট তুলে ধরেছেন সাধারণ নাগরিকদের জন্য। রিপোর্টের তথ্য অনুসারে, সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে ভোটের আগে অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বর মাসে জ্বালানি তেলের মূল্য লিটার প্রতি 4 থেকে 5 টাকা পর্যন্ত কমতে পারে। যদিও এটি নির্ভর করবে সরকার FY23 আন্ডার-রিকভারি সম্পূর্ণভাবে অফসেট করার উপর।
আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি, বর্তমানে ভারত অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনতে লিটার প্রতি 80 ডলার খরচ করে। জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে রয়েছে, বিগত দিনের চেয়ে তেল কোম্পানিগুলোর ব্যালেন্স শীট অনেকাংশে ঠিক করা হয়েছে। যা FY24-এ শক্তিশালী মুনাফা নিবন্ধন করার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। যদি সমস্ত কিছু ঠিক থাকে, তবে চলতি মাসের নভেম্বর নাগাদ ভারতের বাজারে পেট্রোল অথবা ডিজেলের দাম 4-5 টাকা পর্যন্ত কম হতে চলেছে। তবে যদি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনতে ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে লিটার প্রতি 85-90 ডলার খরচ করতে হয়, তবে আগামী দিনগুলোতে কোনোভাবেই কমবে না জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্ব মূল্য।







