উচ্চ বেতন এবং অধিক সুবিধা থাকার কারণে ভারতের বেশিরভাগ তরুণ-তরুণী কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত চাকরি পেতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। যেকোনো রাজ্য সরকারের চেয়ে মহার্ঘ ভাতা অধিক হবার কারণে কেন্দ্র সরকারের চাকরিতে মাস শেষে মোটা মাইনে পান কর্মচারীরা। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী, মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয় জানুয়ারি থেকে এবং জুলাই থেকে। তবে দেখতে না দেখতে চলতি বছরে প্রায় তিন মাস অতিক্রম হতে চলল, তবুও মহার্ঘ ভাতা নিয়ে কোনরকম নোটিশ দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র অসন্তোষ।
কবে থেকে নিজেদের বাড়তি মহার্ঘ ভাতা পাবেন কর্মচারীরা, তা নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তারা। কারণ অগ্নি বাজার মূল্যের কারণে অনেক অংশে মহার্ঘ ভাতার ওপর নির্ভর করে থাকেন কর্মচারীরা। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে কোনরকম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়ার কারণে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে সরকারি চাকরিজীবীদের।
বছরের প্রথমে সরকারের পক্ষ থেকে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে কোনরকম নোটিশ জারি করা না হলেও সরকারি চাকরিজীবীরা ভেবেছিলেন, হোলির পরেই এই বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেবে মোদি সরকার। তবে সে আশা এখন কার্যত দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে তাদের। গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত হওয়ার কথা থাকলেও শেষমেষ সেই আলোচনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রী পরিষদ।
কোটি কোটি সরকারি কর্মচারীরা এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকলেও সম্পূর্ণ নিরাশ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। বছরের শুরুতে মূল্যস্ফীতির কারণে মহার্ঘ ভাতা প্রাপ্তির আশা করছেন চাকরিজীবীরা। গত বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠক না হওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে কোনরকম সিলমোহর পড়েনি। সূত্রের খবর, মহার্ঘ ভাতা নিয়ে মন্ত্রিসভায় কোন রকম আলোচনা হবে কিনা তা জানতে হলে এখন সরকারি কর্মচারীদের কমপক্ষে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে!