Health Tips: ঘি ওজন বাড়াতে দারুন উপকারী, জেনে নিন অসাধারণ টিপস

দেশি ঘি ভারতীয় খাবারের একটি অপরিহার্য অংশ। খাবারের স্বাদ বাড়াতে এর সামান্য পরিমাণই যথেষ্ট। ঘিতে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ই, ভিটামিন কে২ এর মতো পুষ্টি…

Published By: Shreya Chatterjee | Published On:
Advertisements

দেশি ঘি ভারতীয় খাবারের একটি অপরিহার্য অংশ। খাবারের স্বাদ বাড়াতে এর সামান্য পরিমাণই যথেষ্ট। ঘিতে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ই, ভিটামিন কে২ এর মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের অনেক প্রয়োজনীয় কাজে সাহায্য করে। এছাড়া এতে রয়েছে চর্বি, যা শরীরে শক্তি জোগায়। কিছু চর্বি শরীরের জন্য ভালো, আবার কিছু ক্ষতিকারক। ঘি খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে শরীরে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। ওজন কমানোর বা বাড়ানোর কথা ভাবলে ঘি খান।

Advertisements

ঘি হল চর্বির একটি প্রাকৃতিক উৎস, যা আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টও। এছাড়াও ঘি ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে-এর মতো চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিনের একটি ভালো উৎস। এছাড়াও, ঘি ক্যালোরি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ, যার সেবন ওজন বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করে, তাই যারা ওজন বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছেন তাদের অবশ্যই এটি তাদের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, তবে অল্প পরিমাণে। কারণ এতে উপস্থিত স্যাচুরেটেড ফ্যাট নানাভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।

Advertisements

ঘরে তৈরি খাঁটি দেশি ঘি তে ভালো পরিমাণে লিনোলিক অ্যাসিড থাকে, যা যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য খুবই উপকারী। দেশি ঘিতে পাওয়া স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরের জেদী মেদ কমাতে সহায়ক। এছাড়াও, ঘি খেলে মেটাবলিজম ত্বরান্বিত হয়, যার কারণে ওজন দ্রুত হ্রাস পায়। ঘি দিয়ে ডাল, রুটি, শাকসবজি বা অন্যান্য খাবার খেলে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পায়। যা ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে।

বাইরে থেকে কেনা ঘি নয়, চটপট দেখে কিন্তু বাড়িতেই কিভাবে সুন্দর করে ঘি বানাতে পারেন আপনি কি বাড়িতে রোজ দুধ ব্যবহার করেন? তাহলে আর চিন্তা নেই, বাইরে থেকে আপনাকে আর কি কিনে আনতে হবে না, দুধ থেকে তৈরি করে ফেলতে পারেন অসাধারণ ঘি। আর এই ঘি খেতেও হবে ভীষণ সুন্দর। কি জিনিস ব্যবহার করছেন আপনি তো নিজেই জানেন তাই একেবারে খাটি জিনিস হবে, গরম গরম ভাতের সঙ্গে খেতে কিন্তু বেশ ভালো লাগবে।

প্রথমেই আপনাকে যে কাজটা করতে হবে সেটা হচ্ছে প্রতিদিন যখন দুধ গরম করেন, তখন উপর থেকে সর তুলে রাখতে হবে, মোটামুটি এক সপ্তাহের মতন ভালো করে সর তুলে রাখুন। তবে বারবার গরম করার পরে ওপরে যে সরটা পড়ে সেটা নয়, প্রথমবার দুধ জাল দেওয়ার পরে যে সর থাকবে, সেটাই একমাত্র তুলে রাখতে হবে।

এরপর যেদিনকে মনে করবেন ঘি বানাবেন, সেদিন একটা কড়াই নিয়ে নেবেন, কড়াইতে ভালো করে গরম করে, আঁচ কমিয়ে দেবেন তার মধ্যে এই সর দিয়ে ক্রমাগত নাড়িয়ে যেতে হবে। আস্তে আস্তে দেখবেন একটা খুব সুন্দর তেলের মতন অংশ বেরিয়ে আছে আর একদম নিচের মধ্যে দেখবেন একটু একটু করে সেই শহর পোড়া ভাবে জমতে শুরু করেছে। গ্যাস কোনভাবেই কিন্তু বাড়িয়ে দেবেন না তাহলে কিন্তু সামলাতে পারবেন না পুড়ে যাবে।

যখন দেখবেন কোন রকম ভাবেই আর দুধের কোন অংশ দেখতে পাচ্ছেন না, তখন বুঝতে পারবেন আপনার ঘি তৈরি হয়ে গেছে। এরপর একটি কাঁচের কন্টেনারে ছেঁকে তুলে রাখুন। নিচে যে অংশটা পড়ে থাকে, সেটাও কিন্তু খেতে ভীষণ ভালো হয়, ফেলে দেবেন না। গরম গরম ভাতের সঙ্গে সেই অংশটাও খেতে পারেন।

Advertisements