মানব শরীর সচল রাখতে প্রোটিনের গুরুত্ব অপরিসীম। অ্যামাইনো অ্যাসিড জুড়ে জুড়ে দেহে তৈরি হয় এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি। প্রোটিন দেহের কোষ, মাংসপেশী এবং অঙ্গের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। দেহে এই জিনিসটির পরিমাণ কমলেই মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে। দেহের বিকাশের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে প্রোটিন। আর এই জিনিসটি আমাদের হাতের কাছে উপলব্ধ একাধিক জিনিস থেকে পাওয়া যেতে পারে। সব খবরই কিছু না কিছু পরিমাণ প্রোটিন থাকে। আপনাকে শুধু বেছে নিতে হবে কোন খাবারে কতটুকু পরিমান প্রোটিন বিদ্যমান।
একজন সুস্থ স্বাভাবিক ব্যক্তির প্রতি কেজি ওজনের জন্য ০.৮ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন হয়। একজন ৭৫ কেজি ওজনের ব্যক্তির জন্য প্রোটিনের মাত্রা ধার্য করা হয়েছে ৬০ গ্রাম। তবে অধিকাংশ সময় সেই পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করতে পারে না বেশিরভাগ মানুষ। অনেকেই ভাবেন শুধুমাত্র মাছ, মাংস কিংবা ডিমের মধ্যেই রয়েছে প্রোটিন। তবে জানলে অবাক হবেন, নিরামিষ খাবারের মধ্যে ভরপুর মাত্রায় রয়েছে এই জিনিসটি।
১. আটার রুটি: গমের আটায় যে পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে তা আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না। প্রোটিনের পাশাপাশি গমের আটায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। জানলে অবাক হবেন, ১০০ গ্রাম আটায় থাকে প্রায় ১৮.৮ গ্রাম প্রোটিন।
২. মসুর ডাল: ফাইবারে সমৃদ্ধ এই উপাদানটি বহু রোগ অনায়াসে দূর করতে সক্ষম। ফাইবারের পাশাপাশি মসুর ডালে রয়েছে অধিক মাত্রায় প্রোটিন। আর সেই কারণে প্রেগন্যান্সির সময় এই ডাল অধিক মাত্রায় খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। নিয়মিত মসুর ডাল খেলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রার ঘাটতি কমানো সম্ভব।
৩. কাঁচা ছোলা: বাসে কিংবা ট্রেনে আমরা এই জিনিসটি প্রতিনিয়ত বিক্রি হতে দেখি। তবে এর উপকারিতা না জেনে শুধুমাত্র সুস্বাদু স্বাদের জন্য আমরা খেয়ে থাকি। তবে জানলে অবাক হবেন, কাঁচা ছোলা প্রোটিনের একটি বড় উৎস। প্রোটিনের পাশাপাশি এতে থাকে ৮টি অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।