বর্তমান সময়ে মোবাইল এমন একটা জিনিস হয়ে দাঁড়িয়েছে যেটা ছাড়া আপনি কিছু করার চিন্তাই করতে পারবেন না। যদি বলা হয়, মোবাইল ছাড়া এমনটা বললেও ভুল হয়। রাতে ঘুমানোর সময় মোবাইল হাতে থাকে এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথেই প্রথম চোখ খুলে মোবাইলের দিকে তাকায়। মোবাইল শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যা ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না। যদিও এটি আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে, এত কিছুর পরেও এর অনেক অসুবিধাও রয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে মোবাইল ব্যবহার করা স্থূলতা ও মানসিক স্বাস্থ্যের কারণ।
অনেক সময় শিশুদের মধ্যে মোবাইল আসক্তির জন্য অভিভাবকও দায়ী। ছোটবেলা থেকেই মোবাইলে গান বাজানো, শিশু কান্নাকাটি করতে ব্যস্ত থাকলে শিশুর হাতে মোবাইল তুলে দেওয়াও এই আসক্তির কারণ। অনেক সময় বাচ্চাদের মোবাইলের প্রলোভন দেওয়া হয়, এমনকি তাদের খাওয়ানোর জন্য এটি একটি অভ্যাসে পরিণত হয় এবং তারপরে শিশু মোবাইল ছাড়া কোন কাজ করে না। যা মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে এবং শিশু জেদি হয়ে যায়।
মোবাইলে কার্টুন দেখা ছাড়াও, তাদের জন্য ইনডোর গেম আনুন, যা তারা পছন্দ করে এবং তারা সেগুলি খেলতে বেশি সময় ব্যয় করে। এর সাথে, তাদের পার্কে নিয়ে যান এবং তাদের বন্ধুদের সাথে খেলতে দিন। আপনি চাইলে তাদের পছন্দের খেলা বা ক্রিয়াকলাপে ভর্তি করাতে পারেন। যেখানে তারা মন দিয়ে খেলতে পারে এবং নিজেদের ব্যস্ত রাখতে পারে।