কাঁকরোল পুষ্টিকর ও জনপ্রিয় সবজি। এটি এক ধরনের কুমড়ো গোত্রীয় ছোট সবজি যা মূলত গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হয়। কাঁচা কাঁকরোল তরকারি, ভাজি ও ভর্তা হিসেবে খাওয়া যায়। কাঁকরোল খেতেও কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে না।
সব ধরনের মাটিতে চাষ করা যায়। তবে দো-আঁশ, এঁটেল-দো-আঁশ মাটি চাষের জন্য উত্তম। চাষের জন্য জল জমে না, উঁচু বা মাঝারি উঁচু জায়গা দরকার। কোন কারনে যদি কচি গাছের গোড়ায় জল দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে কিন্তু সেই গাছ একেবারে পচে যাবে। চাষের জন্য মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। এরপর চাষের জমিতে প্রয়োজনীয় মাপের মাটি তৈরি করতে হবে।
কাঁকরোলের বিভিন্ন জাত রয়েছে। এরমধ্যে আসামি, মণিপুরি, মুকুন্দপুরি ও মধুপুরি অন্যতম। সারি থেকে সারির দূরত্ব হবে ২ মিটার ও গাছ থেকে গাছের দূরত্ব হবে ২ মিটার। সার হিসেবে দিতে পারেন পচা গোবর সার, এছাড়া ইউরিয়া, জিএসপি এর জিপসাম ইত্যাদিও ব্যবহার করতে পারেন। তবে একেবারে জৈব সার দেওয়ায় খুব ভালো, বিশেষ করে এই ধরনের কীটনাশক যদি দিতে চান। তাহলে নিম খোল ব্যবহার করতে পারেন অথবা জলের মধ্যে নিমপাতাকে ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে একটা স্প্রেতে করে দিয়ে দিতে পারেন। এছাড়া যদি পোকামাকড়ের সমস্যা থেকে বাঁচতে চান তাহলে।
চারা গজানোর পর আগাছা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। বেশি পরিমাণে জল দেওয়া যাবে না, অল্প অল্প করে জল দিতে হবে। গাছ যতদিন চারা অবস্থায় থাকে খুব বেশি উপর থেকে জল দেওয়া যাবেনা, আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে জমিতে জল দিতে হবে। গাছ ১০-১৫ সেন্টিমিটার লম্বা হলে গোড়ায় বাঁশের কঞ্চি বা কাঠি পুঁতে দিতে হবে। গাছ ৫০ সেন্টিমিটার লম্বা হলে মজবুত মাচা তৈরি করে দিতে হবে।