অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমানরত বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির তৃতীয় ম্যাচে ভারত রীতিমত আত্মসমর্পণ করেছে। সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে নাস্তানাবুদ করে ম্যাচ জিতেছিল ভারত। তবে এদিন ইন্দোর টেস্টে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতা ম্যাচ শুরু হওয়ার প্রথম দিনেই ভারতকে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেয়। প্রথম ইনিংসে ভারত সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৯ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২২ রানের ইনিংস খেলেন বিরাট কোহলি।
প্রথম ইনিংসে ভারতীয় দলের চরম ব্যর্থতার পর অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং করতে নেমে নিজেদের সব’কটি উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান করতে সক্ষম হয়। তবে প্রথম দিনেই নিজেদের মূল্যবান চারটি উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় দল ব্যাটিং করতে নেমে যেন ব্যর্থতা ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৬৩ রানে গুটিয়ে যায় টিম ইন্ডিয়ার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ। অস্ট্রেলিয়ার সামনে রাখা মাত্র ৭৬ রানের টার্গেট ১ উইকেট হারিয়ে তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
এদিকে ইন্দোরের সবুজ গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়া-ভারতের চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর হাজারো প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ম্যাচের প্রথম দিনে ১৪ উইকেট এবং দ্বিতীয় দিনে ১৬ উইকেট হারিয়েছে দুই দল। ফলে ভারতীয় পিচের বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আইসিসি ম্যাচ রেফারি দ্বারা গড় রেটিং পেতে পারে হোলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ। তৃতীয় টেস্টে ইন্দোর স্টেডিয়াম ব্যাটসম্যানদের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল। কারণ প্রথম ৩০ মিনিটের মধ্যে বলটি কল্পনার অতীত টার্ন নিচ্ছিল।
দুটি শক্তিশালী দলের চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর স্বাভাবিকভাবে ইন্দোরের পিচ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মনে করা হচ্ছে, টেস্ট ম্যাচের জন্য আইসিসির নিয়ম মেনে পিচ নির্মাণ করা হয়নি। যদিও এই প্রসঙ্গে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার কোনরকম বক্তব্য সামনে আসেনি। মনে করা হচ্ছে, আইসিসির ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড তৃতীয় ম্যাচে ভারতের অপরিকল্পিত পিচের কারণে কঠিন শাস্তির বিধান দিতে পারেন।