ভারতের তারকা ওপেনার শিখর ধাওয়ান এই মুহূর্তে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৯ বছরের সম্পর্কের ইতি ঘটিয়ে তাকে ডিভোর্স দেন আয়েশা মুখার্জি। আর এই ঘটনার পর থেকে এখনো পর্যন্ত সর্ব মাধ্যমে রীতিমতো সমালোচিত হচ্ছেন শিখর ধাওয়ান। ডিভোর্স প্রসঙ্গে বিগত দুই বছরে কোনরকম আলোকপাত না করলেও সম্প্রতি মুখ খুলেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার। জানিয়েছেন, কেন ডিভোর্স হলো এবং কবে তিনি নতুনভাবে জীবন শুরু করতে চলেছেন? চলুন এই নিবন্ধে পুরো ঘটনা জেনে নেওয়া যাক-
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ব্যক্তিগত জীবনের একাধিক ঘটনা উন্মোচন করেছেন শিখর ধাওয়ান। বহুদিনের সঙ্গী আয়েশা মুখার্জির সাথে ডিভোর্স হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি সরাসরি বলেন,”সম্ভবত এই ডিভোর্সের জন্য আমি নিজেই দায়ী। যখন আমি বিয়ে করেছিলাম তখন নিশ্চয়ই আমি সচেতন ছিলাম না। একথা বলতে দ্বিধা নেই যে আমি ব্যর্থ হয়েছি। আমি নিজে অন্যের দিকে আঙ্গুল তুলতে পছন্দ করি না। নিশ্চয়ই আমার দিক থেকে কোনরকম ভুল হয়েছিল, যে কারণে আজ আমাদের ডিভোর্সের মামলা চলছে।”
তিনি আরও বলেন,”আজ আমি যেটা বুঝি সেটা সম্পূর্ণ আমার অভিজ্ঞতা থেকে। যদি ক্রিকেটের কথা বলি, সেক্ষেত্রে ১০-১৫ বছর আগে আমার জ্ঞান ছিলনা বললেই চলে। বর্তমানে আমি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, সেটা দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফল। আজ আমি বলছি, বিয়ে করার পূর্বে অন্তত কয়েক বছর ধরে একে অন্যকে জানার চেষ্টা করুন। তার পরই জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিন।”
আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২০২১ সালে আয়েশা মুখার্জির সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে শিখর ধাওয়ানের। তাছাড়া বিগত দুই বছরের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না ভারতীয় এই ওপেনার। শেষবারের মতো ২০২২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে সংক্ষিপ্ত ওভারের ক্রিকেট খেলেছিলেন তিনি। আসন্ন আইপিএলের মেগা আসরে ৩৭ বছর বয়স্ক শিখর ধাওয়ানকে পাঞ্জাব কিংসের নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে।