শ্রীলংকার মাটিতে একপ্রকার পাকিস্তানকে দুধে-ভাতে হারালো বিরাট কোহলিরা। ২০০৮ সালের পর একদিনের ক্রিকেটে সর্বাধিক ব্যবধানে বাবর আজমদের হারানোর গৌরব অর্জন করল ভারতীয় দল। নিবন্ধের শুরুতে আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি, ইতিপূর্বে ২০০৮ সালে পাকিস্তানকে সর্বোচ্চ ১৪০ রানের ব্যবধানে পরাজিত করে ইতিহাস লিখেছিল ভারত। তবে এবার রোহিত শর্মার নেতৃত্বে বিরাট কোহলি এবং কে এল রাহুলের বিধ্বংসী পারফরমেন্সের ভিত্তিতে ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে পাকিস্তানকে পরাজিত করার গৌরব অর্জন করল টিম ইন্ডিয়া।
প্রথমে আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি, গতকাল বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচের শেষ অংশ আজ রিজার্ভ-ডে তে খেলানোর পরিকল্পনা করে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিলের আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ আজ ব্যাট করতে নামেন বিরাট কোহলি এবং কে এল রাহুল। দীর্ঘ অবসরের পর অবশেষে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করে এদিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বপ্নের ইনিংস খেলেছেন কে এল রাহুল। তিনি ১০৬ বলে অপরাজিত ১১১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে মাঠ ত্যাগ করেন। অন্যদিকে, বিরাট কোহলি নিজের ক্যারিয়ারের ৭৭ তম শত রানের পাশাপাশি ১০৬ বলে অপরাজিত ১১১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। মূলত রাহুল-কোহলির লম্বা জুটিতে ভারত নির্ধারিত ওভার শেষে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ৩৫৬ রান সংগ্রহ করে।
এদিকে, ৩৫৭ রানের বিশাল লম্বা লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেই প্রথমেই দিশা হারিয়ে যায় পাকিস্তানের। ইনফর্ম ব্যাটসম্যান বাবর আজমকে ব্যক্তিগত ১০ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে পাকিস্তানের কফিনের মূল্যবান প্রেকটি মারেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাছাড়া মিডিল ওর্ডারে ভারতের চায়না ম্যান তথা কুলদীপ যাদব ধ্বংস করেন পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার। তিনি মাত্র ৮ ওভার বোলিং করে ২৫ রানের বিনিময়ে ৫টি মূল্যবান উইকেট দখল করেন। পাশাপাশি, শার্দুল ঠাকুর, জসপ্রিত বুমরাহ এবং হার্দিক পান্ডিয়া একটি করে উইকেট দখল করেন। পাকিস্তান মাত্র ৩২ ওভার ব্যাটিং করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান করতে সক্ষম হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে টিম ইন্ডিয়া।