ATM কার্ড থাকলেই বিনামূল্যে ৫ লক্ষ টাকা জীবনবিমা, সবার আগে জেনে এই সুবিধার কথা

আপনি যে ATM কার্ড ব্যবহার করছেন, সেখান থেকেও জীবন বীমা পাওয়া সম্ভব, তাও আবার বিনামূল্যে। এটিএম বা ডেবিট কার্ডে এই সুবিধা থাকলেও অনেকেই হয়তো এই…

Published By: Pritam Santra | Published On:
Advertisements

আপনি যে ATM কার্ড ব্যবহার করছেন, সেখান থেকেও জীবন বীমা পাওয়া সম্ভব, তাও আবার বিনামূল্যে। এটিএম বা ডেবিট কার্ডে এই সুবিধা থাকলেও অনেকেই হয়তো এই বীমার কথাটা জানেন না। যার ফলে এর সুবিধাও নিতে পারেন না সময় মতো। এটিএম কার্ডগুলিতে জীবন বীমা কভার পাওয়া যায়। আসুন এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক এটিএম কার্ড থেকে কীভাবে জীবন বীমার সুবিধা লাভ করা যায়।

Advertisements

দেশের সব শ্রেণির মানুষের পক্ষে একবারে ক্রেডিট কার্ড না থাকা সম্ভব হতে পারে, কিন্তু প্রায় সবারই ডেবিট কার্ড আছে। গত কয়েক বছরে যেভাবে সেভিংস অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েছে, তাতে প্রমাণ হয় যে ডেবিট বা এটিএম কার্ড দেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্যমান। ডেবিট কার্ডে আপনি বিনামূল্যে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জীবন বীমা পাবেন। বড় কথা হলো, এই বীমা সম্পর্কে সচেতন না হওয়ার কারণে খুব কম মানুষই এই বীমার সুবিধা নেন।

Advertisements

আপনি যখনই কোনও ব্যাঙ্কে আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলবেন, ব্যাঙ্ক আপনাকে হাতে একটি এটিএম কার্ড বা ডেবিট কার্ড দেয়। শুধু ব্যাংকের এই কার্ড ইস্যু করার মাধ্যমেই আপনি দুর্ঘটনা বা অকাল মৃত্যুর জন্য বীমা পাবেন। দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক এসবিআইয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, নন-এয়ার বীমা, ডেবিট কার্ডধারীদের ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা বীমা (মৃত্যুর জন্য) দেওয়া হয়।

ধরুন একজন ব্যক্তি কমপক্ষে ৪৫ দিন ধরে কোনও সরকারী বা বেসরকারী ব্যাংকের এটিএম ব্যবহার করছেন, তাহলে তিনি কার্ডের সাথে উপলব্ধ বীমা কভারের জন্য যোগ্য, তবে এই সময়সীমা ব্যাংক অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। এ ছাড়া ব্যাংকের বিভিন্ন ডেবিট কার্ডের ক্যাটাগরিতেও বীমার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়।

ATM card

এই বীমা দাবি করা বেশ সহজ। যদি কোনো ডেবিট কার্ডধারীর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাহলে সেই ব্যক্তির মনোনীত ব্যক্তি বা নমিনি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে গিয়ে বীমা দাবি করতে পারবেন। দাবি করার জন্য কার্ডধারীর ডেথ সার্টিফিকেট, এফআইআরের কপি, কার্ডহোল্ডারের উপর নির্ভরশীলের সার্টিফিকেট, মৃত ব্যক্তির সার্টিফিকেটের মূল কপি ইত্যাদি সহ ব্যাংকে সেই মনোনীত ব্যক্তির কাছে আবেদন জমা দেওয়ার পরে দাবি করা যেতে পারে। ক্লাসিক কার্ড থাকলে ১ লাখ টাকা, প্ল্যাটিনাম কার্ডে ২ লাখ টাকা, নরমাল মাস্টার কার্ডে ৫০ হাজার টাকা, প্ল্যাটিনাম মাস্টার কার্ডে ৫ লাখ টাকা এবং ভিসা কার্ডে ১.৫ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বীমা দেওয়া হয়।

Advertisements