কৃষকদের আয় বাড়ানোর জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প চালাচ্ছে। সরকার কৃষকদের মৎস্য চাষ, মৌমাছি পালনে উৎসাহিত করছে। সরকার বিশ্বাস করে যে কৃষকরা চাষের পাশাপাশি এই কাজগুলি করে তাদের আয় বাড়াতে পারেন। বিশেষ বিষয় হলো, মৎস্য চাষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। এর আওতায় পুকুর নির্মাণ, বোরিং পাম্প সেট ও শেড স্থাপনের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করে কৃষকরা মাত্র ৩০ শতাংশ খরচে মাছ পালন করে তাদের আয় বাড়াতে পারবেন। মাছ চাষের জন্য ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণও দেওয়া হয়, যাতে মাছ চাষের ব্যবসা করতে গিয়ে কৃষকরা কোনো আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন না হন। যেসব কৃষক জমি চাষের পাশাপাশি মাছ চাষ করে মুনাফা অর্জন করতে চান তারা ৩০ আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত এই প্রকল্পের অধীনে আবেদন করতে পারবেন।
কৃষকদের সুবিধার্থে রাজ্য সরকার বিশেষ সহায়তা প্রকল্প পরিচালনা করছে। এর আওতায় পুকুর নির্মাণ, বোরিং পাম্প সেট স্থাপন, শেড নির্মাণ ইত্যাদি মাছ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের উপর ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। এই পুরো প্যাকেজের প্রতিষ্ঠা ব্যয় বিভাগ কর্তৃক ১০.১০ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে সুবিধাভোগীকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হবে। অর্থাৎ কৃষক ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি পাবেন। কৃষককে তার পকেট থেকে মাত্র ৩০ শতাংশ টাকা খরচ করতে হবে, যা কৃষক ব্যাংক ঋণ থেকে ব্যবস্থা করতে পারবেন।
সব সময় একটি ছোট পুকুর দিয়ে শুরু করুন। মাঠে মাছ চাষের জন্য একটি ছোট পুকুর নির্মাণ করে মাছ চাষ শুরু করতে পারেন কৃষকরা। এতে খরচ কম হয়। কৃষকরা যদি জমিতে একটি ছোট পুকুর তৈরি করেন, তাহলে এর খরচ পড়বে ৫০ হাজার টাকার কাছাকাছি। এতে সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকিও পাওয়া যাবে। এ অবস্থায় কৃষকরা খুব কম খরচে পুকুর নির্মাণ করে মাছ চাষ শুরু করতে পারেন। যেহেতু কৃষকরা চাষাবাদের পাশাপাশি এই ব্যবসা করেন, তাই তাদের আয় অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে। জমিতে পুকুর নির্মাণ করলে মাছ চাষ সহজ হবে এবং দ্বিতীয়ত ফসল সেচের জন্যও পুকুর থেকে জল পাওয়া যাবে। এ অবস্থায় মাঠে পুকুর নির্মাণ করে দ্বিগুণ লাভবান হতে পারেন কৃষকরা।
আপনি যদি প্রাথমিকভাবে এই ব্যবসায় এক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন তবে আপনি এটি থেকে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারেন। বিশেষ বিষয় হলো, চাষাবাদের পাশাপাশি মাছ চাষের ব্যবসা করলে কৃষকদের পক্ষে কম খরচে মাছ চাষ করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, প্রতি মরসুমে বাজারে মাছের চাহিদা থাকে, এমন পরিস্থিতিতে মাছ পালন করে চাষিরা ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারেন।