রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার দ্বারা অনুমোদিত ভারতের বিভিন্ন টাকার নোটে আপনারা নিশ্চয়ই বিভিন্ন ধরনের ছবি দেখেছেন? যার মধ্যে এমন অনেক ছবি রয়েছে, যা আপনার পরিচিত জায়গার। আবার এমন অনেক ছবি রয়েছে, যেটি সম্পর্কে আপনার বিন্দুমাত্র ধারণা নেই। নিবন্ধের শুরুতে আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি, ভারতে মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থা কয়েকশো বছরের নয় বরং ২০০০ বছরের পুরনো। তবে আধুনিক নোট ব্যবস্থা প্রচলন ঘটে ১৯৬৯ সাল থেকে। কারণ ১৯৬৯ সালে প্রথমবার ভারতীয় মুদ্রাযুক্ত হয় মহাত্মা গান্ধীর ছবি।
জানলে অবাক হবেন, মহাত্মা গান্ধীর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ভারতীয় প্রত্যেকটি টাকার নোটে মহাত্মা গান্ধীর ছবি ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তবে শুধুমাত্র মহাত্মা গান্ধীর ছবিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পরিকল্পনা। ভারতের প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান তথা স্থাপনার ছবি নোটে ছাপানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে RBI। আর সেখান থেকে ভারতে প্রত্যেকটি টাকার নোটে মহাত্মা গান্ধীর পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অথবা স্থাপনার ছবি ছাপানো হয়।
যদি এই মুহূর্তে কেউ আপনার কাছে প্রশ্ন করে, ১০০ টাকার নোটে থাকা পাহাড়ের নামটা কি বলতো? আপনি প্রশ্ন শুনে নিঃসন্দেহে ঘাবড়ে যাবেন। তবে আজ আমরা এই নিবন্ধে আপনার সেই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এসেছি। জানলে অবাক হবেন, ভারতের ১০০ টাকার নোটে যে পাহাড়ের ছবিটি রয়েছে সেটি আসলে পৃথিবীর তৃতীয় দীর্ঘতম উঁচু পাহাড় কাঞ্চনজঙ্ঘার। যা ভারতের সুন্দরতম রাজ্য সিকিম থেকে ক্যামেরা বন্দী করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, হিমালয় পর্বতমালার একটি অংশ কাঞ্চনজঙ্ঘার উচ্চতা ৮,৫৮৬ মিটার। যা ভারতের নেপাল সীমান্তে অবস্থিত।