পৃথিবীর অন্যতম লোনা জলের জঙ্গল তথা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবনে প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করে থাকেন। মূলত, সুন্দরবনের মনোরম পরিবেশ এবং বাঘ দেখার আশায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এসে ভিড় জমান এই অরণ্যভূমিতে। শুধু তাই নয়, সুন্দরবনের মাছ স্বাদে অতুলনীয় হওয়ার কারণে একটি বিশাল অংকের মানুষ ভ্রমণ করেন এই লোনা দ্বীপে।
তবে এতদিন সুন্দরবনের ভ্রমণ করতে হলে মানুষকে দুটি জিনিসের উপর নির্ভর করতে হতো। নৌকা কিংবা ইঞ্জিন চালিত বোর্ড এবং লঞ্চের মাধ্যমে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে হতো পর্যটকদের। যা বেশ সময় সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুলও বটে। কষ্ট সাপেক্ষ এই ভ্রমণ অনেকের পছন্দের বাইরে ছিল। যার ফলে একটি বিশাল অংকের পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণ করা থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখতেন। তবে এবার সেই সমস্ত পর্যটকদের জন্য খুশির সংবাদ নিয়ে আসতে চলেছে ভারতীয় রেল।
এবার আর হাসনাবাদ থেকে নৌকাযোগে সুন্দরবনে নয়, বরং ভারতীয় রেলের মাধ্যমে সরাসরি প্রকৃতির এই অনন্য রূপভূমি দেখতে পারবেন পর্যটকরা। শোনা যাচ্ছে, পর্যটকদের কথা চিন্তা করে ক্যানিং থেকে ভাঙ্গনখালি পর্যন্ত এবং ভাঙ্গনখালি থেকে ঝড়খালি পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার সম্প্রসারণ এর কাজ শুরু করতে চাইছে রেল মন্ত্রক। আমরা এই নিবন্ধে আপনাদের জানিয়ে রাখি, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি তিনটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিলেন। যেখানে প্রথমটি ক্যানিং থেকে ভাঙ্গনখালি (৪.৮৪ কিমি) দ্বিতীয়টি ভাঙনখালি থেকে সরাসরি বাসন্তী (১৪.৩০ কিমি) এবং তৃতীয়টি বাসন্তী থেকে ঝড়খালি (২৩ কিমি) রেলপথ নির্মাণের অনুমোদন দেন।







